নদীতে মোষ স্নান করাতে নেমে মূর্তিমান মৃত্যুর কবলে কিশোর
এক রাখাল কিশোর নদীতে নেমেছিল মোষকে স্নান করাতে। কিন্তু কিশোর ছেলেটি জানতও না তার জন্য ওত পেতে অপেক্ষায় রয়েছে মূর্তিমান মৃত্যু।
মোষকে স্নান করাতে নদী বা খাল-বিলকে বেছে নেন রাখালরা। তেমনিভাবেই পারিবারের মোষটিকে চড়াতে নিয়ে এসে পাশের নদীতে তাকে নিয়ে স্নান করাতে নেমেছিল কিশোর ছেলেটি। কিন্তু তখন কি আর তার জানা ছিল যে নদীর হাল্কা ঢেউ ওঠা আপাত শান্ত পরিবেশে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে মূর্তিমান মৃত্যু!
মোষকে স্নান করাতে নামার পর বেশ কিছুক্ষণ ওই বছর ১৫-র কিশোরের দেখা না পেয়ে অবশেষে তার খোঁজ শুরু হয়। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়।
তন্নতন্ন করে শুরু হয় নদীর চারধারে খোঁজ করা। মোষটি বহাল তবিয়তে থাকলেও কিশোরের দেখা কিছুতেই পাওয়া যাচ্ছিল না। দীর্ঘক্ষণ খোঁজের পর অবশ্য তার খোঁজ মেলে। তবে পুরো দেহ নয়। তার আধ খাওয়া দেহটি উদ্ধার হয়।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ২ জন এভাবেই কুমিরের পেটে গেল। ২ জনের ক্ষেত্রেই কুমির তাদের দেহের অর্ধেক খেয়ে ফেলে যায়।
১০ দিন আগে দুধওয়া অভয়ারণ্যের কাছে একটি নদীতে এক ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যায় কুমির। প্রায় একই ঘটনা এবার ঘটল উত্তরপ্রদেশেরই পিলিভিট জেলার সেমারখেড়া গ্রামে। এখানেই মোষ স্নান করাতে গিয়ে কুমিরের পেটে গেল ১৫ বছরের কিশোর।
পিলিভিটের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন তিনি জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা নদী তীরবর্তী এলাকা বন দফতরের সাহায্য নিয়ে খতিয়ে দেখবেন।
যেখানে যেখানে কুমিরের দাপট রয়েছে সেখানে তাঁরা নদীর ধারে বোর্ড লাগিয়ে দেবেন। যাতে মানুষ এখানে নদীতে নামা বা তার কাছে আসা থেকে বিরত থাকেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা