জামাইয়ের সঙ্গে পালালেন শাশুড়ি, ফিরলেন বিয়ে করে
রাতারাতি জামাইয়ের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালালেন শাশুড়ি। এমন এক ঘটনা বিস্মিত করেছে সকলকে। তাঁরা বাড়ি ফেরেন বটে। তবে ২ জনে বিয়ে করে।
মেয়ের সঙ্গে ভাল পাত্র দেখে বিয়ে ঠিক করেছিলেন মা। সব দেখাশোনা করে অবশেষে চারহাত এক হয়। মেয়ের বিয়ে বেশ ধুমধাম করেই দিয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পর মেয়ে জামাইকে নিজের বাড়িতেই রেখেছিলেন তিনি।
মেয়ে বিয়ে হলেও তাঁর কাছেই রইল। এটাই ছিল তাঁর কাছে বড় পাওনা। উপরি পাওনা জামাইও কাছেই রইল। কথায় বলে জামাই তো ছেলেরই মত।
আপাত দৃষ্টিতে সেই শাশুড়ি, মেয়ে ও জামাইয়ের সুখের সংসারই ছিল। বিয়ের ১টি বছরও পার হয়েছিল এমন করেই। কিন্তু সকলে হতবাক হয়ে গেলেন তখন যখন রাতারাতি জামাইয়ের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালালেন শাশুড়ি। মা ও স্বামী একসঙ্গে পালিয়েছেন। এটা ভেবে মেয়েও হতভম্ব হয়ে যান।
তাঁরা পালিয়ে গেলেও ফিরে আসেন। তবে ফিরে আসেন যখন তখন তাঁরা আর সম্পর্কে শাশুড়ি-জামাই নন। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। একথা ২ জনে বাড়িতে এসে বলার পর মেয়ে সোজা হাজির হন পুলিশের কাছে। অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্বামী তাঁকে ডিভোর্স না দিয়েই দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে অবাক হয়ে যায় যখন তারা দেখে বিয়ে হয়েছে শাশুড়ি জামাইয়ের। তাও আবার পালিয়ে। ২ জনে বিয়ের প্রামাণ্য নথিও পেশ করেছেন পুলিশের কাছে।
তাঁরা যে কোর্ট ম্যারেজ করেছেন তার নথিও তুলে ধরেন পুলিশের কাছে। পুলিশ এখন খতিয়ে দেখছে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে।
এদিকে মা ও স্বামীর কাণ্ডে গ্রামে কার্যত মুখ লুকিয়ে বেড়াচ্ছেন মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মুজফ্ফরপুর জেলার ভাউরা কালান গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা