সন্দেহের বশে যুবককে মানুষের মল-মূত্র খাওয়ালেন গ্রামবাসীরা
এক যুবককে বাড়ি থেকে টেনে এনে মানুষের মল ও মূত্র খেতে বাধ্য করলেন একদল গ্রামবাসী। নিছক সন্দেহের বশে এমন অমানবিক কাজ নিয়ে ছিছিক্কার পড়ে গেছে।
গ্রামে প্রথমে একটি বৈঠক বসে। গ্রামবাসীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে কয়েকজন যুবক চলে যান ওই গ্রামেরই বাসিন্দা হরিবন্ধু বাগারতি-র বাড়িতে।
বাড়ি থেকে তাঁকে প্রথমে টেনে হিঁচড়ে বার করে আনা হয়। শুরু হয় বেদম প্রহার। কয়েকজন গ্রামবাসী বাধা দিতে গেলে তাঁদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন ওই যুবকরা।
তারপর হরিবন্ধুকে মেরে রক্তাক্ত তাঁরা কয়েকজন তাঁকে চেপে ধরেন। অন্যরা জোর করে হরিবন্ধুর মুখে ঢেলে দেন মানুষের প্রস্রাব।
এখানেই শেষ নয়, হরিবন্ধুকে মানুষের মল খেতেও বাধ্য করা হয়। একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে নিছক সন্দেহের বশে এমন নির্মম অত্যাচারের দৃশ্য সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হয়।
ওড়িশার বলাঙ্গির জেলার পারুয়াভাদি গ্রামে ঘটা এই ঘটনা রীতিমত চমকে দিয়েছে গোটা দেশকে। কিন্তু কেন এমন ঘটল?
পারুয়াভাদি গ্রামের বাসিন্দারা গত কয়েকদিন ধরেই এক অজানা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছিলেন। বেশ কয়েকজন এমনভাবে অসুস্থ হওয়ার পর গ্রামবাসীদের একাংশের ধারণা হয় তাঁদের গ্রামের বাসিন্দা হরিবন্ধুই এর জন্য দায়ী।
হরিবন্ধুই গ্রামবাসীদের ওপর কোনও কালাযাদু করছেন। যা থেকে গ্রামবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কয়েকজনের এমনটা মনে হতেই গ্রামে সালিশি সভা বসে। সেখানেই স্থির হয় হরিবন্ধুকে তারা শাস্তি দেবে। সেইমত তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে মারধর করে মানুষের মল ও মূত্র খেতে বাধ্য করেন গ্রামের কয়েকজন যুবক।
এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হরিবন্ধুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি গত ৩ জুলাই ঘটলেও সামনে আসে মঙ্গলবার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা