জ্বলছে শরীর, গলছে পিচ, দিল্লি ৪৩ পার, গুরুগ্রাম সাড়ে ৪৪
সারা দেহ যেন পুড়ে যাচ্ছে। একদিন দুদিন নয়, টানা এমনই অসহ্য গরমে জ্বলছে দিল্লি সহ উত্তর ও পশ্চিম ভারত। জ্বলছে হিমাচল প্রদেশও।
বুধবার দুপুরে প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কলকাতা সহ আশপাশের জেলা। বৃষ্টি যে হবে তা আগে থেকেই পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। ভরা বর্ষায় এমন বৃষ্টি নতুন কিছু নয়। রাজ্যে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি টানা চলছে। অনেক জায়গায় মানুষ বৃষ্টিতে অতিষ্ঠ। এই যখন পরিস্থিতি তখন ভারতের উত্তর ও পশ্চিম অংশে বেশ কয়েকটি রাজ্য এক বিন্দু বৃষ্টির জলের দিকে চাতকের মত তাকিয়ে আছে।
দিল্লিতে এদিন পারদ চড়েছে ৪৩.২ ডিগ্রিতে। এখন অবশ্য প্রায় প্রতিদিনই ৪০-৪৩ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে দিল্লির পারদ। এদিন তো ৪৩ ডিগ্রিও পার করে গেছে তা। দিল্লিতে এখন মানুষ বেলা বাড়লে রাস্তায় বার হতেও ভয় পাচ্ছেন। কার্যত তাপপ্রবাহ চলছে সেখানে।
একই পরিস্থিতি দিল্লির কাছে গুরুগ্রামে। সেখানে আবার বুধবার পারদ ছুঁয়েছে ৪৪.৫ ডিগ্রি। পিচ গলছে নিজের মত। অসহ্য গরমে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে গুরুগ্রামের বাসিন্দাদের। একে করোনার চিন্তা। তারমধ্যে এই গরমের সঙ্গে যোঝার লড়াইটা আর লড়ে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
সকলেই চাইছেন কবে ২ ফোঁটা জল পড়বে আকাশ থেকে। কবে তাঁরা প্রাণ জুড়োবেন। রাজস্থান ও হরিয়ানা জুড়েও একই পরিস্থিতি।
আগুনে গরমে পুড়ছে শহর থেকে গ্রাম। রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগরে পারদ চড়েছে ৪৫.৫ ডিগ্রিতে। যা বুধবার সারা ভারতে সর্বোচ্চ।
আবহাওয়া দফতর অবশ্য এই অসহ্য পরিস্থিতিতে আশার কথা শুনিয়েছে। আগামী ১০ জুলাই থেকে দিল্লি সহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি শুরু হবে বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
এসব অঞ্চলে এখনও বর্ষার প্রবেশ ঘটেনি। সেটাই এবার হবে। বর্ষা ঢুকবে সেখানে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা