একান্নবর্তী পরিবারের ২১ জনই করোনা আক্রান্ত, রেহাই পেলেন ৩ জন
এক একান্নবর্তী পরিবারের ২১ জন সদস্যই করোনা সংক্রমণের শিকার। ২৪ জনের পরিবারে মাত্র ৩ জন সদস্যের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ভারতে এক সময় একান্নবর্তী পরিবারের কথা শোনা গেলেও এখন তা খুঁজতে হয় দূরবীন দিয়ে। হাঁড়ি আলাদা শব্দটা অনেক বড় পরিবারগুলোকে এখন নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির তকমা দিয়েছে।
একসঙ্গে থাকা, মানিয়ে চলার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন অধিকাংশ মানুষ। তারমধ্যেও কিছু পরিবার তাদের সেই সনাতনি একান্নবর্তী পরিবারকে ধরে রেখেছে।
তেমনই একটি পরিবারের এক সদস্য অশোক গত ২১ এপ্রিল প্রথমে করোনা সংক্রমণের শিকার হন। একই পরিবার একসঙ্গে থাকে একই বাড়িতে। খাওয়া দাওয়া, থাকা সবই একসঙ্গে।
তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই পরিবারের সকলের করোনা পরীক্ষা হবে। সেইমত কদিন পর সকলের করোনা পরীক্ষা হয়।
তাতে দেখা যায় ওই পরিবারের ২৪ জন সদস্যের মধ্যে ২১ জনই করোনা সংক্রমণের শিকার। যার মধ্যে সবচেয়ে ছোট সংক্রমিতের বয়স দেড় বছর। আর সবচেয়ে বয়স্ক সংক্রমিতের বয়স ৭৫ বছর।
পুনের মাণ্ডবগাঁ ফারাতা গ্রামের বাসিন্দা ওই পরিবারে রয়েছেন ৭ জন পুরুষ, ৮ জন মহিলা ও ৯টি শিশু। অশোক রোহিতাস জগতপ জানান, তাঁর বৌমা ও তাঁর ভাইয়ের ছেলের স্ত্রী ও এক ভাইয়ের ছেলে কেবল করোনামুক্ত ছিলেন। তাঁরাই পুরোটা সামলেছেন।
২ বৌমা পুরো পরিবারের খাবার তৈরি করেছেন। পরিবারের ১৫ জন বাড়িতেই ছিলেন। ৬ জন সেফ হোমে ছিলেন। বাড়ির একমাত্র পুরুষ সদস্য যিনি করোনামুক্ত ছিলেন তিনি পারিবারিক তরমুজের ফার্ম সামলেছেন।
এক প্রবল দুঃসময়ের মধ্যে দিয়ে গেছে পুরো পরিবার। তবে এখন তারা করোনামুক্ত হয়ে উঠেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা