তৈরি হবে পার্ক, কি দিয়ে শুনলে অনেকেই বিশ্বাস করবেননা
পার্ক তৈরি হবে এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। কিন্তু কি দিয়ে তৈরি হবে সেই পার্ক তা শুনলে অনেকেই হতবাক হয়ে যেতে পারেন।
অনেক পড়ে থাকা জমিকে সাজিয়ে গুছিয়ে শহরের মাঝে পার্কের চেহারা দেওয়া হয়। ছোটো থেকে বয়স্ক, সকলেই সেখানে একটু বেড়ানোর সুযোগ পান। গাছপালা, ঘাসের মধ্যে কিছুটা সময় কাটে।
এমনই একটি পার্ক তৈরি হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। এর মধ্যে সত্যিই নতুনত্বের কিছু নেই। এটা তো খবর হতে পারেনা। তাহলে খবরটা কী! এটা অনেকের মনে হতেই পারে। খবর যেটা সেটা হয়তো অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবেননা।
ভোপালে তৈরি হতে চলা পার্কে জড়িয়ে থাকবে করোনার মৃত্যু স্মৃতি। কারণ পার্কটি তৈরি হবে করোনায় মৃতদের দাহ করার পর পড়ে থাকা অস্থিভস্ম দিয়ে। সহজ কথায় তাঁদের পোড়ানোর পর সেই ছাই দিয়ে।
ভোপালের ভদভদা বিশ্রাম ঘাট শ্মশানের চত্বরেই এই পার্ক তৈরি হতে চলেছে। কেন এমন ভাবনা? করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট যখন তুঙ্গে ছিল তখন মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ সংকটজনক অবস্থায় তাঁদের পরিজনকে ভোপালে চিকিৎসার জন্য আনেন। তাঁদের অনেকের মৃত্যুও হয়।
মৃত্যুর পর এই ভদভদা বিশ্রাম ঘাটে তাঁদের সৎকার হয়। কিন্তু দাহকার্যের পর এমন অনেকের চিতাভস্ম পরিজনরা শ্মশান থেকে নিয়ে যাননি। সেসব চিতাভস্ম জমা হয়ে পড়ে আছে ওই শ্মশানে।
এবার সেগুলিকে কাজে লাগিয়েই তৈরি করা হবে পরিকল্পিত পার্কটি। এমনই পরিকল্পনা করেছে শ্মশানের পরিচালন কমিটি। তারা জানাচ্ছে, গত মার্চ থেকে জুনের মধ্যে দাহ করা বহু মানুষের চিতাভস্মের সামান্য একটু মৃতের বাড়ির লোকজন নিয়ে যান সঙ্গে করে। বাকিটা পড়ে থাকে।
এখনও পর্যন্ত পরিচালন কমিটির কাছে এমন ২১ ট্রাক ভর্তি মানুষের অস্থি ও ভস্ম জড়ো হয়েছে। এগুলো তারা নদীতে ফেলতে চায়না। তাতে নদীর জলদূষণের একটা সম্ভাবনা থেকে যায়।
তাই যাঁরা মারা গেছেন করোনায় তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। যেখানে এই ভস্ম ব্যবহার হবে। পার্কটি হবে ১ হাজার বর্গফুট জায়গায়। রোপণ করা হবে সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার গাছের চারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা