National

খুশির সীমা নেই, রাস্তায় নেমে নাচল গোটা গ্রাম

খুশি যখন বাঁধ ভাঙে তখন বোধহয় এমনটাই হয়। একটা গ্রামের সব বয়সের মানুষ নেমে এলেন রাস্তায়। শুরু হল নাচ, গান।

খুশিরও নানা রকম হয়। এমন কিছু খুশির মুহুর্ত জীবনে আসে যা কীভাবে উদযাপন করা যায় তাই ভেবে পান না মানুষ। মনে হয় এই আনন্দটাও কম হল।

এমনই এক আনন্দঘন মুহুর্তের মধ্যে দিয়ে দিনটা কাটালেন একটি গ্রামের মানুষ। গোটা গ্রামটা নেমে এল রাস্তায়। এই অতিমারি পরিস্থিতিতেও সব বয়সের মানুষ বেরিয়ে এলেন।


গ্রামের মহিলারা ধরলেন গান। আর সেই গানের তালে নাচতে শুরু করলেন গ্রামের সব বয়সের মানুষ। নাচ তাঁদের থামতেই চায়না। হাসি আর আনন্দের উদযাপন যেন শেষ হতে চায়না।

কী এমন ঘটল যে এত আনন্দ গ্রামের মানুষের? এখানে প্রথমেই বলতে হয় লগান সিনেমার সেই দৃশ্যের কথা যখন ক্রিকেট ম্যাচ জিতে আনন্দে মাতোয়ারা গোটা গ্রাম, আর ঠিক সেই সময়েই নামল আকাশ কালো করা বৃষ্টি। এই জোড়া আনন্দে নেচে উঠল গোটা গ্রামটা।


অনেকটা তেমনই হল এদিন রাজস্থানের বারমের জেলার একটি গ্রামে। এতদিন এই জেলার অনেক গ্রামের মানুষকেই পানীয় জলের জন্য মাইলের পর মাইল হেঁটে যেতে হত।

গরম নেই, বর্ষা নেই, শীত নেই, প্রবল কষ্ট সহ্য করে তাঁরা পানীয় জল নিয়ে আবার হেঁটে ফিরতেন গ্রামে। না গেলে বাড়িতে পান করার মত জলটুকুও মিলতনা।

কেন্দ্রীয় জল শক্তি মন্ত্রক ২০২৪ সালের মধ্যে সব বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য হর ঘর জল নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছে। তার আওতায় বারমেরের ৫টি গ্রামে এই প্রথম ট্যাপের জল পৌঁছে গেল।

আর কোথাও যেতে হবে না গ্রামবাসীদের। তাঁদের বাড়িতেই পৌঁছে যাবে বিশুদ্ধ পানীয় জল। তাও প্রতিদিন সর্বক্ষণের জন্য। সেই ৫টি গ্রামেরই একটি গ্রাম এদিন এই আনন্দ ভাগ করে নিল নাচে, গানে, আনন্দে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button