সাধু সাজা অপরাধীকে ধরতে সাধু সাজল পুলিশ, টানল ছিলিমও
সাধু সেজে গা ঢাকা দিয়েছিল এক অপরাধী। তাকে পাকড়াও করার অনেক চেষ্টা চালিয়েও সাফল্য আসেনি। অবশেষে তাকে পাকড়াও করতে পুলিশকেও সাধু সাজতে হল।
সিনেমার গল্প মানেই যে গল্পের গরুর গাছে ওঠা তেমনটা বোধহয় নয়। কারণ বাস্তবে এমন অনেক ঘটনা ঘটে যা টানটান সিনেমাকেও হার মানাতে পারে। এমনই একটা ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছে।
২৭ বছর আগে একটি পেট্রোল পাম্পে পাম্পের এক কর্মীর সঙ্গে এক গ্রাহকের ঝগড়া হয়। গ্রাহকের দাবি ছিল পাম্প কর্মী কম পেট্রোল দিচ্ছে।
ঝগড়ার মাঝে ওই গ্রাহককে হত্যা করে সেখান থেকে চম্পট দেয় ওই কর্মী। পুলিশে অভিযোগ দায়ের হলেও ওই কর্মীর আর খোঁজ মেলেনি।
রাজস্থানের জয়পুরে বিশ্বকর্মা পুলিশ স্টেশন এলাকায় ঘটনাটি ঘটার পর ২৭ বছর কেটে গেছে। এতদিনেও ওই কর্মীর টিকি পায়নি পুলিশ। তবে পুলিশ সম্প্রতি একটি কথা জানতে পারে।
পুলিশ জানতে পারে হরিয়ানায় এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু রয়েছে, যে ওই কর্মী দেশবন্ধু জাট হতে পারে। এবার পুলিশ একটি জাল পাতে।
কনস্টেবল সাহেব সিং ও অন্য কয়েকজন পুলিশকর্মী হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার বাপোরা এলাকায় ওই ধর্মগুরুর আশ্রমে হাজির হন। সেখানে তাঁরা ওই ধর্মগুরুর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তারপর ওই আশ্রমেই থাকতে শুরু করেন।
সেখানে ধর্মগুরুর সঙ্গে বসে গাঁজার ছিলিমেও টান দেন পুলিশকর্মীরা। লক্ষ্য ছিল একটাই, ওই ধর্মগুরুর পেট থেকে কথা বার করা। সেটা হয়ও। অবশেষে শিষ্য সেজে থাকা পুলিশকর্মীরা জানতে পারেন ওই ধর্মগুরুই জয়পুরের সেই দেশবন্ধু জাট।
এদিকে পুলিশ যখন নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেফতার করতে আসে তখন ধর্মগুরুর অন্য শিষ্যরা বাধা দেন। কিন্তু সেই বাধা পার করেই দেশবন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত তাকে জয়পুরে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা