ঘাড়, হাত ও পা মিলিয়ে ৭৫টি আলপিন গোঁজা রয়েছে চামড়ার ঠিক নিচে! অথচ না তিনি সেগুলো খেয়েছেন। না সেগুলো কেউ ঢুকিয়ে দিয়েছে। কেউ ঢুকিয়ে দিল দেহে পিন ফোটানোর দাগ থাকত। আর খেয়ে ফেলে থাকলে তাঁর পাকস্থলীতে পিনের দেখা মিলত। কিন্তু সেখানে কিছু নেই। ফলে এটা পরিস্কার যে তিনি পিন খেয়ে ফেলেননি। তবে এসব পিন এল কোথা থেকে? কীভাবেই বা শরীরে নিজের মত করে ছড়িয়ে পড়ল? আপাতত এটাই সবচেয়ে বড় ধাঁধাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে চিকিৎসকদের কাছে। রাজস্থানের বুন্দি জেলার বারদা গ্রামের বাসিন্দা বদ্রীলাল মীনা। ৫৬ বছরের এই প্রৌঢ় বর্তমানে ভারতীয় রেলের কর্মচারি। পায়ে ব্যথা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করাতে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পরীক্ষার সময় ধরা পড়ে এই পিন রহস্য। একথা জানার পর বদ্রীনাথকে কোটা রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আপাতত ৭৫টি এক ইঞ্চি সমান আলপিন শরীরে নিয়ে বেডে শুয়ে আছেন তিনি। মনে করতে পারছেন না আলপিনগুলো তাঁর দেহে ঢুকলো কোথা থেকে। এদিকে এক্স-রে-তে আলপিনগুলো এমন বাজেভাবে শরীরে ছড়িয়ে আছে বলে ধরা পড়েছে, তাতে সেগুলো কী করে বার করা হবে তা ভেবেই কুল পাচ্ছেন না চিকিৎসকেরা।