সহজ উপায়ে কিডন্যাপের গল্পের কিনারা করল পুলিশ
কিডন্যাপের গল্পটা সুন্দর করে সাজানো হলেও তাতে লাভ হল না। পুলিশ অনায়াসেই ধরে ফেলল সেই মিথ্যা। তবে পুলিশকেও সেজন্য বুদ্ধি খাটাতে হল।
এক মহিলা উদভ্রান্তের মত হাজির হলেন থানায়। কী হয়েছে? পুলিশ জানতে চাইলে তিনি জানান তাঁর ৩ মাসের শিশুপুত্রকে তাঁর কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে এক লাল শাড়ি পড়া মহিলা।
তিনি যখন শেহনাই ম্যারেজ হলের পাশ দিয়ে সন্তানকে কোলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখনই ঘটে ঘটনাটি। তাঁর কোল থেকে ছিনিয়ে দ্রুত একটি এসইউভি গাড়িতে চড়ে পালায় ওই মহিলা।
পুলিশ মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে। তদন্ত শুরু করে ওই মহিলাকে প্রশ্ন করে জানার চেষ্টা করে বিভিন্ন বিষয়। আর তখনই তদন্তকারীদের খটকা লাগে।
তাঁরা যখনই সালমা খাতুন নামে ওই মহিলাকে প্রশ্ন করছেন তখনই একটি করে নতুন কথা বলছেন তিনি যার সঙ্গে আগের বয়ানের ফারাক থাকছে। এখানেই সন্দেহ হয় পুলিশের।
পুলিশ ঘটনার এলাকার যাবতীয় সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে। আর সেখানেই দেখা যায় ওই মহিলার কোল থেকে কেউ শিশুকে ছিনিয়ে নেয়নি, বরং ওই মহিলাই আর এক মহিলার কোলে তুলে দিচ্ছেন নিজের সন্তানকে।
পুলিশ এরপর অন্য মহিলার খোঁজ চালিয়ে দ্রুত ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে। ওই মহিলা জানান, তিনি শিশুটির জন্য সালমা খাতুনকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছেন।
দরিদ্র পরিবারে সালমার স্বামী কাগজ কুড়োনোর কাজ করেন। তিনি চাননি তাঁর সন্তানকে বেচে দেওয়া হোক। তাই তাঁকে ও পুলিশকে ধোঁকা দিতে এই কাহিনি সাজান সালমা খাতুন বলে জানাচ্ছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ থানা এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা