করোনার মধ্যেই ভিড়ে ভিড়াক্কার হাম্পি
করোনা আবহের মধ্যেই ভিড় উপচে পড়ল হাম্পিতে। সবেমাত্র উঠেছে সপ্তাহান্তের কড়া বিধিনিষেধ। আর তারপরই সেখানে মানুষ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন।
নতুন করে চিন্তা বাড়াচ্ছে হাম্পি। ক্রমশ যেভাবে সেখানে ভিড় বেড়েই চলেছে তাতে স্থানীয় প্রশাসন চিন্তায়। এভাবে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমাতেই থাকলে এখানে নতুন করে করোনার বাড়বাড়ন্ত নজর কাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
এদিকে জুলাই মাসের শুরুতেই হাম্পিতে আসার ওপর সপ্তাহান্তের যে নিয়ন্ত্রণবিধি চালু ছিল তা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর তা জানতে পেরেই সপ্তাহান্তে এখানে উপচে পড়ছে ভিড়।
তুঙ্গভদ্রা নদীর পারে কর্ণাটকের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হাম্পি। যেখানকার একটি রথের ভাস্কর্য জায়গা পেয়েছে ভারতের নতুন পঞ্চাশ টাকার নোটেও।
চারধারে পাহাড় ঘেরা দিগন্ত বিস্তৃত সৌন্দর্য। সঙ্গে যতদূর চোখ যায় পাথরের খাঁজে খাঁজে সবুজের ভিড়। তার মধ্যে দিয়েই সাপের মত এঁকে বেঁকে চলে গেছে তুঙ্গভদ্রা নদী।
এখানকার দ্রষ্টব্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিরূপাক্ষ মন্দির, ভিত্তালা মন্দির, লোটাস মহল, রানির স্নানাগার, মহানবমী দিব্যা। এগুলি দেখতে এখানে উপচে পড়ছে ভিড়।
হাম্পি গত ২ মাস সাধারণের জন্য বন্ধ করা ছিল। বেল্লারি ও বিজয়নগর জেলায় করোনা হুহু করে বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা জুনের শেষের দিকে কিছুটা ও জুলাইয়ের শুরুতে আরও কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। ফলে মানুষের আনাগোনা বাড়ছে।
এখানে আশপাশের মানুষ বলেই নয়, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকেও বহু মানুষ হাজির হন, এখন হচ্ছেনও। এমনকি কিছুটা অবাক করে ৩ জন বিদেশিকেও এখানে গত সপ্তাহে দেখতে পাওয়া গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা