প্রবল বৃষ্টিতে পরপর ধস, চাপা পড়ল জনবসতি, মৃত্যু বাড়ছে
প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি চলছে। তারমধ্যেই একের পর এক জায়গায় নেমে এল ধস। চাপা পড়ল জনবসতি।
একের পর এক জনবসতি হারিয়ে গেল ধসের তলায়। ওপর থেকে নেমে আসা পাথর, কাদামাটির বিশাল স্তূপের তলায় হারিয়ে গেল পাহাড়ের পাদদেশের জনবসতির মানুষজন।
মোট ৩ জায়গায় এমন ঘটনা ঘটে। যার জেরে সেই স্তূপের তলায় হারিয়ে গেছেন প্রায় ১০০ মানুষ। যার মধ্যে ৩৬টি দেহ উদ্ধার হয়েছে।
এখনও বহু মানুষ কাদামাটির স্তূপের তলায় চাপা পড়ে আছেন। উদ্ধারকাজ চলছে। বেরিয়ে আসছে একের পর এক দেহ। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মহারাষ্ট্রের কোঙ্কণ উপকূল জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। যার জেরে বহু এলাকা প্লাবিত। জলের তলায় চলে গেছে অনেক গ্রাম।
হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সরকার। অনেক জায়গায় বাড়ির ছাদ, গাছের ডালে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষজন। নিচে শুধু জল আর জল। তাঁরা অপেক্ষায় কখন তাঁদের উদ্ধার করা হবে।
এমন পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের রায়গড়, সাতারা ও রত্নগিরি জেলার অধিকাংশ এলাকার। এই জায়গাগুলি কোঙ্কণ উপকূলবর্তী জেলা। আবার এখানেই সারি দিয়ে চলে গেছে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা।
ফলে পাহাড়ি জায়গার অভাব নেই এখানে। যা প্রবল বৃষ্টিতে ভয়ংকর হয়ে ওঠে। তা যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা ৩টি জায়গায় হওয়া পাহাড়ি ধস থেকেই স্পষ্ট।
পাহাড়ের তলদেশে বহু মানুষের বাস। রয়েছে জনবসতি। তাঁরা বৃষ্টি হলে প্রমাদ গোনেন। কখন পাহাড় বিরূপ হবে। কখন নেমে আসবে কাদাধস, সেই চিন্তায় ঘুম ওড়ে মানুষগুলোর। এমনই কয়েকটি জনবসতি এখন পাথর কাদার তলায় হারিয়ে গেছে।
মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
এদিকে আবহাওয়া দফতর বলছে মহারাষ্ট্র এই জুলাইতে এখনও পর্যন্ত যা বৃষ্টি পেয়েছে তা গত ৪০ বছরে জুলাই মাসে কখনও হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা