ভাসছে হাজার হাজার মরা মাছ, ঢাকা পড়ল নদী
শুরুটা হয়েছিল বৃহস্পতিবার রাত থেকে। আর শুক্রবারের মধ্যে তা নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেল। দেশের অন্যতম প্রধান নদীর বুকে ভেসে উঠল হাজার হাজার মরা মাছ।
এত মাছ যে গুনে শেষ করা যাবেনা। প্রতিটা মাছই মৃত। হাজার হাজার মরা মাছ ভাসছে নদীর জলে। জল দেখতে পাওয়াই ভার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মাত্র ১ দিনের ব্যবধানে এত মাছের মৃত্যু! এমন দৃশ্য দেখে একাধারে হতবাক ও আতঙ্কিত নদীর ধারের গ্রামবাসীরা।
দেশের অন্যতম প্রধান নদী যমুনার এই মাছের মড়ক যমুনার জলের পরিস্থিতি নতুন করে দেখিয়ে দিল। কীভাবে এমন অগুন্তি মাছের মৃত্যু হল?
বিখ্যাত পরিবেশবিদ দেবাশিস ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই মাছের মড়কের কারণ মথুরার গোকুল ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া।
গোকুল ব্যারেজের জল খুবই বিষাক্ত। কারণ তাতে প্রচুর পরিমাণে মেশে আশপাশের কারখানার রাসায়নিক মেশা দূষিত জল। তাতেই মাছগুলির মৃত্যু হয়েছে। গোকুল ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পর সেই মরা মাছ এসে ভেসে উঠেছে যমুনার জলে।
যমুনা নদীর জলকে নদীর বলে দাবি করা হচ্ছে মাত্র বলে জানিয়েছেন দেবাশিসবাবু। তাঁর মতে, এই জল আসলে কারখানার বর্জ্য আর যাবতীয় নর্দমার জলের মিশ্রণ। জলের যা অবস্থা তাতে এখানে কোনও জলের জীবন বেঁচে থাকতে পারেনা। ফলে মাছও বাঁচছে না।
দেবাশিসবাবুর এও দাবি যে যমুনাকে দূষণমুক্ত করতে স্থানীয় প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। ব্যবস্থা নিচ্ছে না উত্তরপ্রদেশ সরকারও।
দেবাশিসবাবু বলেই নন, অনেক পরিবেশবিদই যমুনার বেহাল দশা নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাঁদের আরও দাবি যে যমুনার ধারের জমি দেদার নিয়ে নিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
তারপর সেখানে তারা নির্বিচারে গাছ কেটে নির্মাণকাজ চালাচ্ছে। যা যমুনার হাল আরও বেহাল করে তুলেছে। যমুনার ধার ধরে নষ্ট হয়েছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা