অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড, বাড়ির চালে দমাদম পড়ছে পাথর, পেঁয়াজ, কাঁঠালের বীজ
কেউ কোত্থাও নেই। কেবল ২টি বাড়ির ছাদেই দমাদম পড়ছে পাথর, পেঁয়াজ, কাঁঠালের বীজ। অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের কিনারা করতে আসছেন তাবড় বিজ্ঞানীরা।
পাহাড়ি এলাকা। তারই ঢালে পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে একটু দূরে দূরে রয়েছে বাড়ি। এমনই ২টি বাড়ি রয়েছে পাশাপাশি। থাকেন বাবা ও ছেলে।
ঠিক ওই ২টি বাড়ির চালেই সপ্তাহ দুয়েক ধরে চলছে এক অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড। বাড়ির চাল বা বাইরের দেওয়ালের ওপর দৈনিক পড়ছে পাথর, পেঁয়াজ, কাঁঠালের বীজ।
এই আজব কাণ্ডে রীতিমত হতবাক মানুষজন। প্রথমে বাবা ও ছেলে ভেবেছিলেন এটা নিশ্চয়ই কারও কীর্তি। কেউ বা কারা তাঁদের বাড়িতে এসব পাথর ছুঁড়ছেন। কিন্তু বিভিন্ন সময় লুকিয়ে দেখেও চৌহদ্দির মধ্যে কাউকে দেখতে পাননি তাঁরা।
তাঁদের থেকে ১০০ মিটার দূরে রয়েছে আরও একটি বাড়ি। সেখানে কিন্তু এমন কিছুই হচ্ছেনা। কেবল তাঁদের গায়ে গায়ে লাগোয়া ২টি বাড়িতে এমনভাবে মাঝেমধ্যেই ধপাধপ পড়ছে পাথর, পেঁয়াজ, কাঁঠালের বীজ।
নিজেরা কাউকে না দেখতে পেয়ে অবশেষে গ্রামের প্রধানকে ঢাকেন পিতাপুত্র। তিনিও এসে দেখেন কী কাণ্ড হচ্ছে। তিনি জানান, প্রথমে বিশ্বাস করতে না পারলেও নিজে এটা উপলব্ধি করার পর ঘটনাটা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না। কিন্তু সত্যিই এমনটা হচ্ছে।
গ্রামবাসীরা লুকিয়ে দেখার চেষ্টা করেছেন এটা কেউ করছে কিনা। তাঁরাও কিন্তু কারও দেখা পাননি। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশও কাউকে খুঁজে পায়নি।
ফলে বাবা ও ছেলেকে ওই বাড়ি ২টি থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। কারণ যেভাবে পাথর পড়ছে তাতে তাঁরা আঘাত পেতেই পারেন।
এই রহস্যের কিনারা করতে জিওলজি বিভাগের বিজ্ঞানীদের ডাকা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটছে কেরালার ইডুক্কির পাহাড়ি এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা