শিশুর দেহের অর্ধেক নেই, মানুষের কাজ নয়, বলছে রিপোর্ট
একটি দুধের শিশুর অর্ধেক দেহ নেই। ওই অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে। দেহ পরীক্ষার পর রিপোর্ট বলছে এই কাজ কোনও মানুষের নয়।
গ্রামের চারধারে আখের ক্ষেত। আখ এখন পেকে গিয়েছে। এখন তোলাটা বাকি। ওই গ্রামেরই প্রান্তে একটি পরিবারের বাস। আশপাশেই অন্য অনেক পরিবারও রয়েছে। সেখানেই মায়ের পাশে শুয়ে ঘুমচ্ছিল ৯ মাসের শিশুটি।
ঘরের মধ্যে নয়। সামনের দালানেই মা ও ছোট্ট মেয়ে ঘুমে অচেতন ছিল। হঠাৎই ঘুম ভেঙে যায় মায়ের। পাশে শোয়া মেয়েটা গেল কোথায়?
তবে কি ঘুম ভেঙে যাওয়ায় সে আশপাশেই কোথাও হামা দেওয়ার চেষ্টা করছে? কিন্তু ছোট্ট শিশুটির কোনও খোঁজ মেলেনি।
তন্নতন্ন করে খোঁজ শুরু হয়। দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে পাওয়া যায় শিশুটিকে। কিন্তু তার দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। গ্রামেরই ধারে একটি পুকুরের ধারে দেহটি মেলে। দেহের অর্ধেকটাই নেই।
পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে ওই শিশু কন্যার অর্ধেক দেহ না থাকার কারণ কোনও মানুষ নয়। এটি কোনও জন্তুর কাজ।
প্রসঙ্গত গত ২৯ জুলাইও ওই এলাকা থেকেই একটি ৩ বছরের শিশু কন্যা উধাও হয়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন ওই এলাকায় একটি নেকড়ের দল এসেছে। তারা গ্রামের ২টি ছাগলও তুলে নিয়ে গেছে।
২টি শিশুর এমন মর্মান্তিক পরিণতির কারণ সেই নেকড়ের দল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও সেখানে লেপার্ড মাঝেমধ্যেই হানা দেয়।
পুলিশ বিষয়টি নিয়ে বন দফতরকে তৎপর হতে বলেছে। গ্রামেও সচেতনতা অভিযান শুরু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি জেলার মৌজামাবাদ গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা