নার্সকে কুপ্রস্তাব, নোংরা মেসেজ, উত্তমমধ্যম মার হেডমাস্টারকে
এক হেডমাস্টারের কুকীর্তি সামনে এসে পড়ল। এক নার্সকে কুপ্রস্তাব পাঠিয়ে বেদম মার খেলেন এক হেডমাস্টার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেছেন অন্য ২ মহিলা।
সপ্তাহ দুয়েক আগে একটি টিকাকরণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন একটি স্কুলের হেডমাস্টার তথা হেডমাস্টার সংগঠনের সভাপতি। সেখানে টিকা দিতে আসা এক নার্সের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।
কথায় কথায় আলাপ জমে গেলে নার্সের ফোন নম্বরটি নিয়ে নেন ওই হেডমাস্টার। ফোন নম্বর নেওয়ার যুক্তি ছিল আগামী দিনে যে যে শিক্ষক টিকা নিতে পারেননি তাঁদের নাম ওই নার্সকে পাঠিয়ে দেবেন তিনি।
সেই অনুযায়ী সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই নার্স তাঁদের টিকা দিয়ে দেবেন। টিকাকরণ শিবির সেদিন শেষ হওয়ার পর ওই নার্সকে ফোন করতে থাকেন ওই হেডমাস্টার।
টিকা না নেওয়া শিক্ষকদের কথা জানানোর অছিলায় শুরু হয় বারবার ফোন করা। অভিযোগ অত্যন্ত অশ্লীল মেসেজও পাঠাতে থাকেন তিনি। এমনকি ফোনে ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাবও দেন তিনি।
সরাসরি শারীরিক সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব হেডমাস্টারের কাছ থেকে পাওয়ার পর ওই নার্স তাঁকে হুঁশিয়ার করেন। পরবর্তীকালে এমনটা করলে তিনি পদক্ষেপ নেবেন বলেও সতর্ক করেন।
কিন্তু বেপরোয়া ওই হেডমাস্টার তারপরেও এই কাণ্ড চালাতে থাকেন। এরপরই ওই হেডমাস্টারের ঘরে ঢুকে তাঁকে উত্তমমধ্যম দেন ওই নার্স ও তাঁর পরিবারের লোকজন। সেই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।
ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলাগাভি জেলায়। দেগাঁও সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার সুরেশ চাভালাগি-কে মারধর করার পাশাপাশি তাঁকে একটি ক্লাসঘরে তালাবন্ধ করেও রাখেন ওই ক্ষুব্ধ নার্স। পরে বিষয়টি সামনে এলে অভিযুক্ত হেডমাস্টারকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য শিক্ষা দফতর।
এদিকে ঘটনার পর আরও ২ মহিলা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সামনে এসেছেন। তাঁদেরও অভিযোগ ওই হেডমাস্টার তাঁদেরকেও এভাবে নোংরা ছবি ও মেসেজ পাঠিয়ে এক সময় অতিষ্ঠ করে তুলেছিলেন। তাঁদের সরাসরি শারীরিক মিলনের প্রস্তাবও হেডমাস্টার দেন বলে দাবি করেছেন ওই ২ মহিলা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা