আরও পণ চাই, বন্ধুদের ঘরে ঢুকিয়ে স্ত্রীর সম্মান নিল স্বামী
পণের চাহিদা বাড়তে বাড়তে তা কোন চরম পর্যায়ে পৌঁছয় তার এক উদাহরণ সামনে এল। এক মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগে অবাক পুলিশও।
স্বামী, দেওর ও স্বামীর কয়েকজন বন্ধুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন এক ২৭ বছরের যুবতী। অভিযোগে তিনি যা জানিয়েছেন তা চমকে ওঠার মত।
৩ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির নানা চাহিদা শুরু হয়েছিল। তাঁর বাবা যতটা পেরেছেন সেই চাহিদা পূরণও করেছিলেন।
বেশ কিছুদিন আগে স্বামী জানায় তার একটি এসইউভি গাড়ি চাই। সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকা নগদ। এটা শোনার পর ওই যুবতী সাফ জানিয়ে দেন এমন চাহিদা নিয়ে তিনি বাবার কাছে যাবেন না।
এরপর শুরু হয় নানা ধরনের অত্যাচার। ফলে ওই যুবতী বাপের বাড়ি চলে যান। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই স্বামী তাঁকে ফিরিয়ে আনে।
হয়তো ফন্দি এঁটেই তাঁকে ফেরানো হয়। কারণ যুবতীর দাবি শ্বশুরবাড়ি ফেরার পর একদিন তাঁর ঘরে ঢুকে আসে তাঁর দেওর। সঙ্গে ছিল স্বামীর কয়েকজন বন্ধুও।
তারা সকলে মিলে তাঁর সম্মানহানি করে। জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে। এই ঘটনার কথা তিনি স্বামীকে তখনই জানান।
মহিলার দাবি এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর যখন তিনি স্বামীকে বিষয়টি জানাতে যান তখন তাঁর স্বামী তাঁকে সাফ জানিয়ে দেয় চাহিদা না মেটালে এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটতে থাকবে।
ওই যুবতী বুঝতে পারেন তাঁর ঘরে যারা ঢুকেছিল তারা তাঁর স্বামীর মদতেই ঢুকেছিল। পুলিশ এই ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
যদিও কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার রাজবপুর এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা