পাহাড়ে হারিয়ে গেল যাত্রীবোঝাই বাস, ধসে মৃত্যু বাড়ছে
হিমালয়ের পাহাড়সারির সৌন্দর্য যতটা সুন্দর, ততটাই সে ভয়ংকর। তারই প্রমাণ মিলল বুধবার। পাহাড়ি ধসে হারিয়ে গেল বাস, ট্রাক, গাড়ি। মৃত্যু বেড়েই চলেছে।
বেড়েই চলেছে মৃত্যু। এমন দানব ধসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা যে কম তা বিলক্ষণ জানেন সকলে। আপাত দৃষ্টিতে মাতাল করা সৌন্দর্য মাঝেমধ্যেই হয়ে ওঠে ভয়ংকর। পাহাড়ের গা বেয়ে হুড়মুড় করে নেমে আসে পাথরের বড় ছোট অসংখ্য টুকরো। যা বিদ্যুতের গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে নিচে। এমনটাই হল বুধবার।
হিমাচল প্রদেশের ভয়ংকর পাহাড়ি পথ সিমলা থেকে রেকং পিও হাইওয়ে যা ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক হিসাবে খ্যাত। সেই রাস্তায় এদিন গাড়ি, ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস সবই যাচ্ছিল। যদিও সে রাস্তা বর্ষায় বড়ই বিপদসংকুল।
পাহাড়ের গা কেটে রাস্তা এঁকে বেঁকে চলে গেছে। গা বেয়ে নেমে গেছে ৩০০ ফুট গভীর খাদ। তলা দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা শতদ্রু নদী।
সেই পাহাড়ি পথে এদিন আচমকা পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসে বহু প্রস্তর খণ্ড ও মাটি। যার বিপুল স্তূপের তলায় চাপা পড়ে যায় সে সময় সেখান দিয়ে যাওয়া বাস, ট্রাক, গাড়ি।
দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ উদ্ধারে হাত লাগায়। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় সেনা ও এনডিআরএফ।
১১ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ১৩ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাথর, মাটির তলা থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আরও কেউ আটকে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উদ্ধারকারী থেকে প্রশাসন, সকলের একটা বড় চিন্তা হয়েছে হারিয়ে যাওয়া একটি বাস। ধস যখন নামে তখন যাত্রীবোঝাই বাসটি ওখান দিয়ে যাচ্ছিল।
এটা পরিস্কার হচ্ছে না যে তা ধসের তলায় হারিয়ে গেল নাকি ধসের ধাক্কায় রাস্তার ধারের ৩০০ ফুট নিচের খাদে গড়িয়ে গেল।
এদিকে খাদে গড়িয়ে গেলে বাসটি গিয়ে পড়ার কথা নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া শতদ্রু নদীতে। ওই বিশাল উচ্চতা থেকে পড়লে বাসটি আর আস্ত থাকার কথা নয়। বাসটিতে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে খবর।
এছাড়াও ১টি ট্রাক ও ৩টি গাড়ির কোনও খবর নেই। ফলে মৃতের সংখ্যা ঠিক কতজনে গিয়ে ঠেকবে তা এখনও পরিস্কার নয় বলেই জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। পরিস্থিতির খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা