খোঁজ মিলল, ৫০০ ফুট খাদ থেকে উদ্ধার বাসের ধ্বংসাবশেষ, মৃত্যু বাড়ছে
পাহাড়ি ধসের কোপে পড়ে গত বুধবার হারিয়ে গিয়েছিল একটি যাত্রীবোঝাই বাস। হারিয়েছিল ট্রাক, গাড়ি। অবশেষে দুর্গম খাদ থেকে উদ্ধার হল বাসের ধ্বংসাবশেষ।
গত বুধবার পাহাড়ি রাস্তায় ছুটে চলা একটি যাত্রীবোঝাই বাস, ট্রাক ও কয়েকটি গাড়ি কোপে পড়েছিল পাহাড়ের গায় বেয়ে নেমে আসা ধসের।
বড়বড় পাথর, মাটি নিয়ে নেমে আসা সেই ধসে হারিয়ে যায় যাত্রীবোঝাই বাসটি। ট্রাক থেকে গাড়িগুলি চাপা পড়ে যায় ২০০ মিটার পাহাড়ি রাস্তা জুড়ে স্তূপীকৃত পাথর, মাটির তলায়। সেগুলির তবু খোঁজ মিললেও বাসটির কোনও খোঁজ ছিলনা।
গত বুধবার ঘটনাটি ঘটে হিমাচল প্রদেশের ভয়ংকর পাহাড়ি পথ সিমলা থেকে রেকং পিও হাইওয়ে যা ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক হিসাবে পরিচিত। যাত্রীদের নিয়ে বাসটি হরিদ্বার যাচ্ছিল। বাসটির খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়।
একে যখন তখন বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড়ে। বৃষ্টিতে পাহাড় ভয়ংকর হয়ে ওঠে। যখন তখন নামতে পারে ধস। পিচ্ছিল হয়ে পড়ে চারধার।
গাছের ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের পর পাহাড়। তার মাঝে মাঝে গভীর খাদ। বাসটি সেই খাদে পড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল।
খাদের নিচ দিয়ে বয়ে গেছে খরস্রোতা শতদ্রু নদী। ফলে সেখানেও বিপদ অপেক্ষা করছিল। তল্লাশিতে নামে এনডিআরএফ, ভারতীয় সেনা সহ বিভিন্ন সংস্থা।
অবশেষে খাদেই বাসের খোঁজ মিলল এদিন। বাসটি ৫০০ ফুট গভীর খাদে গড়িয়ে পড়ে। সেই দুর্গম খাদ থেকেই উদ্ধার হয় বাসের ধ্বংসাবশেষ।
কয়েকটি দেহ উদ্ধার হলেও বাকি যাত্রীদের কিন্তু খোঁজ নেই। বাসে কমপক্ষে ২৫ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গেছে। বাসটি খাদে গড়ানোর সময় ছিটকে তাঁরা পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু দুর্গম ঘন জঙ্গলে ভরা বর্ষা ভেজা এলাকায় কোথায় তাঁদের দেহ ছিটকে পড়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। খোঁজ অবশ্য চলছে জোরকদমে। তবে বৃষ্টি তল্লাশিতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এদিকে ৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও খোলা সম্ভব হয়নি। কারণ এখনও রাস্তায় স্তূপাকার হয়ে পড়ে আছে ধসের পাথর ও মাটি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা