দেশে জোড়া কম্পন, একটি ভূমিকম্প, অন্যটি ভূমিকম্প নয়
দেশের ২ কোণায় মাটি কাঁপল। এক জায়গায় কাঁপল শুক্রবার রাতে। অন্য জায়গায় কাঁপল শনিবারের বারবেলায়। ২ জায়গাতেই কম্পনের জেরে আতঙ্ক ছড়ায়।
দেশের ২ প্রান্তে কেঁপে উঠল ধরণী। তবে ২টিই ভূমিকম্প নয়। একটি ভূমিকম্প। অন্যটিকে ভূমিকম্প তকমা দিতে নারাজ প্রশাসন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার রাতে। কর্ণাটকের গুলবর্গা জেলার ৫০টি গ্রাম নিয়ে ৩টি তালুক জুড়ে আচমকাই মাটি কেঁপে ওঠে। মাটি কাঁপছে বুঝতে পেরেই গ্রামবাসীরা সকলে ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
ভয় তাঁদের মধ্যে এতটাই পেয়ে বসেছিল যে আতঙ্কে অনেকেই সারা রাত খোলা আকাশের নিচে কাটিয়ে দেন পরিবার নিয়ে। তবু ঘরে ফেরেননি।
যদিও এই কম্পনকে ভূমিকম্প মানতে নারাজ প্রশাসন। গ্রামবাসীরা যদিও মাটি কাঁপাই নয়, বিকট কিছু শব্দও পান। যা তাঁদের আরও আতঙ্কিত করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ওই এলাকায় প্রচুর লাইমস্টোন রয়েছে। যেখানে জল জমে গেলে মাঝে মধ্যেই বিকট শব্দ হয়।
গুলবর্গার মানুষ সকালে ঘরে ফিরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন। আর তার পরেই গুজরাটের কচ্ছে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। শনিবার বেলা ১২টা ৩ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়।
এটা ভূমিকম্পই ছিল বলে নিশ্চিত করেছে ইন্সটিটিউট অফ সিসমোলজি রিসার্চ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১। এই মাত্রার কম্পনকে মাঝারি মাত্রার কম্পন হিসাবেই নেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে কম্পন অনুভূত হয় ঠিকই, তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়না। কচ্ছেও তা হয়নি। তবে আতঙ্ক ছড়ায়। বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
যদিও কম্পনের জেরে হতাহতের খবর নেই। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল কচ্ছের হেরিটেজ সাইট ধোলাভিরা থেকে ২৩ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে। প্রসঙ্গত কচ্ছে দিন ১৫ আগেই ঠিক একই মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা