National

বাবুজি-র শ্রাদ্ধে হাজির ৩ হাজার মানুষ, সবার চোখে জল

মৃত্যুটা এখনও মেনে নিতে পারছেন না কেউ। তাঁদের গ্রামের বাবুজি আর নেই এটা ভেবেই চোখ জলে ভরছে সকলের। গোটা গ্রাম হাজির হয়েছিল বাবুজির শ্রাদ্ধে।

গ্রামের বাবুজি আর নেই। গত ১৫ অগাস্ট তার মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই গ্রামের কারও মন ভাল নেই। গত শনিবার বাবুজির শ্রাদ্ধানুষ্ঠানও হয়।

এই পর্যন্ত শুনে মনে হতেই পারে এ বাবুজি গ্রামেরই কোনও প্রবীণ এবং সম্মানীয় বাসিন্দা ছিলেন। বাস্তবে কিন্তু বাবুজি কোনও মানুষ নন, একটি ষাঁড়।


কিন্তু ষাঁড় হলে কি হবে সে ছিল সকলের প্রিয়। কারও মালিকানা ছিলনা ষাঁড়টির ওপর। গোটা গ্রাম তার দেখভাল করত। খাওয়ার বন্দোবস্ত করত। যত্ন করত।

গ্রামের সকলের বিশ্বাস ছিল বাবুজি আসলে ভগবান শিবের ষাঁড় নন্দী। সাক্ষাৎ নন্দী নেমে এসেছেন ধরণীতে। আর তিনিই রয়েছেন এই গ্রামে সকলের সঙ্গে।


গ্রামের সকলে তার নাম দিয়েছিল বাবুজি। গ্রামেই রয়েছে ভুমিয়া খেড়া। এই ভুমিয়া খেড়া-কে অত্যন্ত ধর্মীয় স্থান বলেই মনে করেন গ্রামবাসীরা।

বাবুজি সেখানেই অনেক সময় থাকত। তা থেকেও গ্রামবাসীদের ধারণা হয়েছিল যে বাবুজি স্বর্গ থেকে তাঁদের গ্রামে তাঁদের সঙ্গে থাকতে এসেছে।

বাবুজি-র মৃত্যু হয় গত ১৫ অগাস্ট। বয়স হয়েছিল ২০ বছর। বয়সজনিত কারণেই মৃত্যু। তার মৃত্যুতে শোক বিহ্বল গ্রামবাসীরা তার শ্রাদ্ধের সব ব্যবস্থা করেন।

গ্রামেরই কয়েকজন যুবক ফটোশপ করে বাবুজির একটি ছবির ব্যবস্থা করেন। যা সাজিয়ে রাখা হয় শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে। ৩ হাজার গ্রামবাসী উপস্থিত হন সেই শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে। শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের খরচ ও ওইদিন সব গ্রামবাসীর খাওয়ার খরচ গ্রামবাসীরাই একসঙ্গে টাকা দিয়ে করেন।

এখনও গ্রামের কেউ মেনে নিতে পারছেন না বাবুজি তাঁদের মধ্যে নেই। সবচেয়ে বেশি মন খারাপ গ্রামের বাচ্চাদের। তাদের সবসময়ের খেলার সঙ্গী ছিল বাবুজি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর জেলার কুরদি গ্রামে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button