ডিভোর্স দিয়ে ভারতে আসা আফগান মহিলার বিরুদ্ধে চরম ফতোয়া তালিবানের
ফতোয়া জারি কথাটার সঙ্গে তালিবান নামটা জড়িয়ে গেছে। ডিভোর্স দিয়ে প্রাণ ভয়ে ভারতে পালিয়ে আসা এক মহিলার বিরুদ্ধে এবার চরম ফতোয়া জারি করল তালিবান।
সে প্রায় ৪ বছর আগের কথা। তখন আফগানিস্তানে তালিবান হামলা বজায় থাকলেও মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী থাকায় সেভাবে মাথাচাড়া দিতে পারেনি তারা। সেই সময় আর পাঁচজনের মত ঘর সংসার করছিলেন এক আফগান মহিলা। স্বামী ও ৪ সন্তানকে নিয়ে সংসার ছিল তাঁর।
এই সময় একদিন তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী আসলে একজন সক্রিয় তালিবান সদস্য। একথা জানার পর আর স্থির থাকতে পারেননি তিনি। স্বামীকে ডিভোর্স দেন ওই মহিলা।
তবে এই ডিভোর্সের ফল যে কি ভয়ংকর হতে পারে তা অনুমেয় ছিল তাঁর কাছে। তাই ৪ মেয়ের মধ্যে ২ মেয়েকে নিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে ভারতে চলে আসেন তিনি।
অন্য ২ মেয়েকে বাধ্য হয়ে ফেলে আসতে হয় স্বামীর কাছে। পরে তিনি জানতে পারেন তাঁর সেই ২ সন্তানকে তাঁর স্বামী তালিবানের কাছে বেচে দিয়েছে।
ওই আফগান মহিলা এরপর দিল্লির একটি জিমে ইন্সট্রাক্টর হিসাবে কাজে যোগ দেন। সেই কাজ করেই তিনি মানুষ করতে থাকেন তাঁর ২ সন্তানকে।
তাঁর ২ মেয়ের একটির বয়স এখন ১৩, অন্যটির ১৪। নিজের মত করে গুছিয়ে নিয়েছিলেন তিনি জীবনটাকে। কিন্তু আফগানিস্তানে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর এক ফতোয়া তাঁর রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
তালিবানি ফতোয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে খোলা মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তিনি চিন্তিত যে আফগানিস্তানে ফিরলে তাঁর ২ মেয়েকেও বেচে দেওয়া হবে। আর তাঁর হবে মৃত্যু।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন কেন? প্রশ্নের উত্তরে ওই মহিলা জানিয়েছেন এখন আফগানিস্তানের যা পরিস্থিতি তাতে সংকোচ ঝেড়ে ফেলে সেখানকার পরিস্থিতি ও তাঁদের পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে আফগানিস্তান থেকে আসা সব শরণার্থীর মুখ খোলা উচিত। সেই পদক্ষেপেই উৎসাহী যোগালেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা