আজও ইন্দিরা গান্ধী ওঁদের কাছে ভগবান, মন্দিরে হয় নিত্যপুজোও
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ওঁদের চোখে দেবী। রয়েছে ইন্দিরা গান্ধী মন্দির। সেখানে রয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তি। যেখানে নিত্যপুজোও হয়।
ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীরও একটি মন্দির রয়েছে এ দেশে। সেখানে তিনি পূজিত হন দেবী রূপে। তাঁদের ভগবান হিসাবে আজও দেখেন গ্রামের মানুষজন। সমান পরিমাণ শ্রদ্ধা করেন গ্রামের শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই।
গ্রামবাসীরাই একসময় তৈরি করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর মন্দির। সে মন্দিরে ইন্দিরা গান্ধীর একটি দাঁড়ানো প্রায় ১ মানুষ সমান মূর্তি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। মূর্তিটি নিয়ে আসা হয়েছিল জয়পুর থেকে।
আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামের মানুষের ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি ভক্তি ও ভালবাসা দেখে এক সময় সেখানকার কংগ্রেস বিধায়ক চিদা ভাই দাওয়ার মূর্তিটি তৈরি করিয়ে জয়পুর থেকে নিয়ে আসেন মধ্যপ্রদেশের খরগোন জেলার পাডলিয়া গ্রামে।
গ্রামের মানুষজন মন্দির তৈরি করে সেই মূর্তি সেখানে প্রতিষ্ঠিত করে পুজো শুরু করেন। মন্দিরের মধ্যেটা সাজানো হয় ভারতের তিরঙ্গার রংয়ে। সেখানেই নিত্যপুজো হয় ইন্দিরা গান্ধীর।
গ্রামের মানুষের বিশ্বাস ইন্দিরা গান্ধী তাঁদের জন্য যা করেছেন তা কেবল ঈশ্বরই তাঁদের জন্য করতে পারতেন। তাই ইন্দিরা গান্ধীই তাঁদের কাছে ভগবান। আজও সেই বিশ্বাস অটুট রয়েছে গ্রামবাসীদের মনে।
মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়াণের পর। ১৪ এপ্রিল ১৯৮৭ সালে মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তার আগে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন এই আদিবাসী এলাকার জন্য অনেকগুলি উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত করেন।
এর ফলে গোটা এলাকার উন্নতি হয়। গ্রামের মানুষের প্রয়োজন মেটে। সে কথা আজও ভুলতে পারেননা মধ্যপ্রদেশের এই আদিবাসী গ্রামের মানুষজন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা