আধমরা অবস্থায় উদ্ধার বিশ্বের অতিবিরল পাখি, গ্লুকোজ খাইয়ে চাঙ্গার চেষ্টা
একেই ছোট পাখি। তার ওপর সে এখনও তার শৈশবে রয়েছে। সেই অবস্থায় মাটিতে পড়ে ধুঁকছিল সে। তাকে উদ্ধার করে গ্লুকোজ খাইয়ে সুস্থ করার চেষ্টা চলছে।
বিশ্বে একটি তালিকা রয়েছে। যাতে অতিবিরল প্রজাতির জন্তু বা পাখিদের নাম নথিভুক্ত। বিশ্ব থেকে প্রায় মুছতে বসা এমনই এক বিদেশি পাখির দেখা মিলল ভারতে।
একটি চার্চের সামনে প্রায় আধমরা অবস্থায় পড়েছিল সেটি। হয়তো শেষ রক্ষা হতনা। তবে সময়মত বিষয়টি নজরে আসে এক ব্যক্তির।
তিনিই একটি এনজিওকে খবর দেন। এনজিওটি দ্রুত হাজির হয় সেখানে। বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে প্রবল গরমে পাখিটি আর বাকিদের সঙ্গে উড়তে পারেনি। ডিহাইড্রেশনের কারণে পড়ে যায় মাটিতে। কম বয়স হওয়ায় আগ্রার গরম সহ্য করতে পারেনি সে।
এনজিওর তরফে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে পাখিটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে গ্লুকোজ এবং ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। এই অতিবিরল পাখিটির নাম ইজিপ্সিয়ান ভালচার। বাংলা করলে দাঁড়ায় মিশরীয় শকুন।
শকুনের নানা ধরণ রয়েছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট আকারের শকুন হল এই ইজিপ্সিয়ান ভালচার। এরা মাটি থেকে অনেক উঁচুতে উড়তে পারে।
কিছুটা করে ওড়ে। তারপর বিশ্রাম নেয়। তারপর ফের ওড়ে। সেই উড়ানে হয়তো বাকিদের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেনি এই শিশু ইজিপ্সিয়ান ভালচারটি। তবে তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে।
বিশ্ব তালিকার অতিবিরল প্রজাতির এই শকুনকে রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। সেদিক থেকেও এই পাখিটিকে বাঁচানো জরুরি।
সুস্থ হলেই তাকে প্রকৃতির বুকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে এনজিওর তরফে জানানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা