ঝরনা দেখতে গিয়ে অনন্য আবিষ্কার, ইতিহাসে নাম তুললেন ২ শিক্ষক
নেহাতই বেড়াতে গিয়েছিলেন ২ জনে। একটু ঝরনার ধারে কাটিয়ে এপাশ ওপাশ ঘুরে ফিরে আসবেন। তাঁরাও জানতেন না কী তাঁদের নজরে পড়তে চলেছে।
এমন করেই হয়তো অনেক অজানা বিষয় সামনে এসে পড়ে। গবেষকরা চেষ্টা করেও এমন অনেক কিছুর দেখা পান না, যা সাধারণ মানুষ ঘুরতে ঘুরে দেখে ফেলেন। আর সেই দেখা তাঁদের রাতারাতি পরিচিতি দেয়। নাম তুলে দেয় তথ্যভাণ্ডারের খাতায়। এমনই একটা ঘটনা ঘটল।
২ শিক্ষক ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন কাশ্মীরের কুলগাম জেলার অহরবাল ঝরনার ধারে। নিছক বেড়াতে বেড়াতে ২ তরুণ শিক্ষক পৌঁছে যান ঝরনার ধার ধরে সেখান থেকে ২ কিলোমিটারের মত দূরে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মেতে ক্রমশ পাহাড়, জঙ্গল, ঝরনার ধারে হারিয়ে যায় তাঁদের মন। এই সময় একটি জঙ্গলাকীর্ণ জায়গায় পৌঁছে যান তাঁরা।
সেখানে মানুষজন তেমন আসেন না। হাঁটতে হাঁটতে তাঁরা সেখানে পৌঁছে অবাক হয়ে যান। সেখানে পাথরের ওপর বেশ কিছু জীবাশ্ম দেখতে পান তাঁরা।
পেশায় শিক্ষক ওই ২ তরুণের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে তাঁরা এক অনন্য আবিষ্কার করে ফেলেছেন। জায়গাটি চিহ্নিত করে ফিরে আসেন তাঁরা। তারপর সঠিক জায়গায় বিষয়টি সম্বন্ধে জানান।
ওই ২ শিক্ষক মনজুর আহমেদ ও রউফ হামজা জানিয়েছেন, তাঁদের ধারণা ৪৮৮ থেকে ৩৫৪ মিলিয়ন বছর আগের জীবাশ্ম এগুলি। যদিও সঠিক সময় জানতে কার্বন ডেটিং করতে হবে এই জীবাশ্মগুলির।
এগুলিকে ওর্দোভিসিয়ান ও ডেভোনিয়ান সময়ের জীবাশ্ম বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। ভূমিক্ষয় ও আবহাওয়া জনিত কারণে এই জীবাশ্মগুলি এতটা স্পষ্ট হয়ে পাথরের গায়ে ফুটে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওই ২ শিক্ষকের ধারণা এখানে আরও অনেক জীবাশ্ম লুকিয়ে আছে। এত পুরনো সময়ের জীবাশ্ম আবিষ্কার কাশ্মীরে এই প্রথম বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা