বন্যার জলে ভেসে গেল বরকনের গাড়ি, আশ্চর্য রক্ষা
প্রবল বন্যায় জলের তোড় চারিদিক ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারমধ্যেই পড়ে গেল একটি বরকনের গাড়ি। সেই প্রবল তোড়েও বেঁচে গেলেন বর আর তাঁর বোন।
কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! তারই এক বাস্তব উদাহরণ হয়ে রইল একটি ঘটনা। একাধারে এ এক আশ্চর্য রক্ষার কাহিনি। আবার এ এক মর্মান্তিক ঘটনাও।
বিয়েটা হয়েছিল ধুমধাম করেই। গত ২৬ অগাস্ট বিয়ের পর গত রবিবার সদ্যবিবাহিত দম্পতি সহ ২ পরিবারের লোকজন গিয়েছিলেন মোমিনপেট নামে একটি জায়গায়।
সেখানে অনুষ্ঠান সেরে রাতেই সদ্যবিবাহিত দম্পতি নওয়াজ রেড্ডি ও প্রভালিকা পরিবারের অন্য ৪ জনের সঙ্গে একটি গাড়িতে চড়ে বসেন। চারধারে তখন প্রবল বৃষ্টি।
অনেক জায়গায় জল নদী নালা ছাপিয়ে রাস্তার ওপর দিয়ে তোড়ে বইছে। মুষলধারে বৃষ্টির বিরাম নেই। গাড়ির চালক এক জায়গায় এসে প্রথমে গাড়ি থামান। সামনে তোড়ে বইছে বন্যার জল। রাস্তা হারিয়ে গেছে জলের তলায়।
কিন্তু চালক আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানান এই ছাপিয়ে যাওয়া নদীর জলের তোড়ে গাড়ির কোনও ক্ষতি হবে না। তাঁরা পেরিয়ে যাবেন।
চালকের কথায় কেউ আর না করেননি। কিন্তু গাড়ি জলের ওপর যেতেই তা আর টাল সামলাতে পারেনি। জলের তোড়ের শক্তির সামনে খড়কুটোর মত ভেসে যায় বরকনে সমেত গাড়িটি।
জলের তোড়ে ভাসতে থাকা গাড়ির দরজা খুলে কোনওক্রমে বেরিয়ে আসেন বর নওয়াজ রেড্ডি ও তাঁর বোন রাধাম্মা। জলের মধ্যেই কোনওক্রমে রক্ষা পান তাঁরা।
স্বামী ও ননদ বেরিয়ে যেতে পারলেও প্রভালিকা সহ গাড়িতেই আটকে পড়েন বাকিরা। গাড়ি হারিয়ে যায় তোলপাড় জলের মাঝে। পরে স্থানীয় মৎস্যজীবীদের চেষ্টায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়। নামানো হয় ডুবুরিও।
ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মারপল্লি এলাকায়। প্রভালিকা সহ নওয়াজ রেড্ডির আর এক বোন শ্রুতি ও গাড়িচালক রঘুবেন্দ্র রেড্ডির দেহ উদ্ধার হয়েছে। গাড়িতে এক কিশোরও ছিল। তার দেহ এখনও পাওয়া যায়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা