বরযাত্রী আসার রাস্তা না হলে বিয়ে নয়, পণ তরুণী আধিকারিকের
একবারে যাকে বলে ধনুক ভাঙা পণ। এক তরুণী আধিকারিক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর বাড়ির সামনে পর্যন্ত বরযাত্রী আসার রাস্তা না হলে তিনি বিয়ে করবেননা।
সবে ১ বছর হল চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে বাড়িতে সকলেই বলছেন এবার বিয়েটা করে ফেলতে। চাকরিও যেমন তেমন চাকরি নয়। প্রভিন্সিয়াল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা পাশ করে কানপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কাজ করছেন তিনি।
তরুণী প্রগতিকে তাই এবার সংসারী করতে চাইছেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু প্রগতি দীক্ষিত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিয়ের প্রশ্নই উঠছে না।
কারণ যেখানে তাঁর বাড়ি, সেই উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলার রামপুর গ্রামে পাকা রাস্তা বলে কিছু নেই। যাকে রাস্তা বলা হয় তা কাঁচা মাটির আলপথের মত। যেখানে গাড়ি প্রবেশ সম্ভব নয়।
প্রগতি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে এমন রাস্তা ধরে বরের গাড়ি বা বরযাত্রীর গাড়ি আসবে কীভাবে? বিয়ের পর ‘বিদাই’ বা শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার সময়ই বা বর তাঁকে কীভাবে এখান থেকে গাড়িতে করে নিয়ে যাবেন? এভাবে বিয়ে হতে পারেনা।
তাই প্রগতি পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁর গ্রামের রাস্তা পাকা করা হচ্ছে, সেখান দিয়ে গাড়ি যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত হচ্ছে, ততদিন পর্যস্ত তিনি বিয়ে করবেননা। আগে রাস্তা, তারপর বিয়ে।
তবে রাস্তা হওয়া সহজ হবে না বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রগতির ঠাকুরদা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় গ্রামের পশ্চিম দিকে রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু তা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
কেননা যেখান দিয়ে রাস্তা যাবে সেখানে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁর একটি ঘর বানিয়ে রেখে দিয়েছেন। যা ওই ব্যক্তি ছাড়তে রাজি নয়। ফলে সেখান দিয়ে রাস্তা তৈরি থমকে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা