হারিয়ে গেছে মা, ১০ দিনের গণ্ডার শাবক ভেসে গিয়েও গেলনা
বন্যায় হয়তো ভেসে যেত সে। বন্যা কি তা বোঝার মত বয়সও হয়নি তার। মা হারিয়ে গেছে কোথায় কে জানে, সেও ভেসে যেতে যেতেও রক্ষা পেল।
জঙ্গলের ৭০ ভাগই চলে গেছে জলের তলায়। এমন প্রতি বর্ষায় হয়। কিন্তু সেই পরিস্থিতি তার দেখা হয়নি। কারণ গত বর্ষায় পৃথিবীর আলোই দেখেনি সে।
পৃথিবীতে এসেছেই বন্যার মাঝখানে। মাত্র ১০ দিন বয়সে প্রবল বন্যায় মায়ের কাছ থেকে সে হারিয়ে যায়। প্রবল জলের তোড়, চারিদিকে বাড়তে থাকা জল, কি খাবে তাও জানা নেই, কোথায় খাবার পাওয়া যায় বা কোনটা খাবার তাও জানেনা।
ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর তাকে বোঝানোর মত সময় তার মা পায়নি। তার মধ্যেই সে হারিয়ে গেছে বন্যায়। ১০ দিনের কার্যত সদ্যোজাত গণ্ডার শাবকটিও ভেসেই যাচ্ছিল। কিন্তু নজরে পড়ে যায় বনকর্মীদের। তাঁরাই তাকে উদ্ধার করেন কোনওক্রমে।
মাতৃহারা গণ্ডার শাবকটিকে উদ্ধার করে এখন সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে। ফিডিং বোতল করে দুধ খাওয়ানো হচ্ছে। এত ছোট গণ্ডারকে বাঁচানো এবং জঙ্গলের পরিবেশের উপযুক্ত করে তোলা মুখের কথা নয়।
প্রতিবছরই কাজিরাঙা জঙ্গল বর্ষায় জলের তলায় চলে যায়। অধিকাংশ এলাকা বানভাসি চেহারা নেয়। বাড়তে থাকে জল। পশুরা আশ্রয় নেয় আশপাশের পাহাড়ের ঢালে। যেখানে জল পৌঁছতে পারেনা। খাবারের চরম অভাবে পড়ে তারা। তাতেও সব রক্ষা হয়না।
এ বছরই বন্যায় ৮টি হগ ডিয়ার, ২টি সোয়াম্প ডিয়ার ১টি লেঙ্গুড় ভেসে গেছে জলে। মৃত্যু হয়েছে তাদের। গত বছর এই মৃত্যুর সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা