জেল থেকে আগাম মুক্তি মিললেও বৃদ্ধকে ঘরে তুলল না পরিবার
জেল থেকে ভাল ব্যবহার ও ভাল কাজের জন্য তাঁকে আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই বৃদ্ধকে তাঁর বাড়ির লোকই আর ফেরাতে রাজি নয়।
তখন তার ৪৭ বছর বয়স। এক বিবাহিতা মহিলার প্রেমে ডুবে গিয়েছিল তার মন। সেই সময় ওই মহিলাকে পাওয়ার জন্য তাঁর স্বামীকে হত্যা করে কেশব শরণ। বিচারে কেশব দোষী প্রমাণিত হয়। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
গারদের পিছনে কেশবের জায়গা হয়। জেলের চার দেওয়ালের মধ্যেই কেটে যায় তার ১৫টা বছর। কিন্তু এই ১৫ বছরে কেশব জেলের আধিকারিক থেকে কর্মী সকলের চোখেই খুব ভাল ব্যবহারের জন্য প্রশংসিত হতে থাকে।
জেলে ভাল ব্যবহার, নিয়ম মেনে থাকা এসবের জন্য অনেক সময় কারাবাসের পুরো সময়সীমার আগেই দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু এখানে একটি শর্ত থাকে।
পরিবারকে এজন্য একটি হলফনামা দিতে হয় যে ওই ব্যক্তি বাইরে বার হওয়ার পর কোনও খারাপ কিছু করলে তারা জেলকে জানাবে বিষয়টি।
সরকারের তরফে কেশবকে ছাড়ার সব ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল কেবল পরিবারের হলফনামা। কিন্তু কেশবের ২ ভাই সাফ জানিয়ে দেন তাঁরা ৬২ বছরের বৃদ্ধ কেশবকে আর বাড়িতে ঢুকতে দিতে রাজি নন।
কেশব বাড়িতে ফিরলে তাঁদের সন্তানদের ওপর তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে দাবি করেছেন ২ ভাই। পরিবারের তরফে হলফনামা না মেলায় জেল থেকে মুক্তিও মেলেনি। পরিবার তাকে ফেরাতেই রাজি নয়, এটা শোনার পর থেকে কেশব শরণ বিষণ্ণতার অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে।
এদিকে কেশবের মুক্তির বিষয়টির দেখার দায়িত্বে যে আধিকারিক রয়েছেন তিনি এখন খোঁজ করছেন কেশবের দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের।
কেউ যদি হলফনামা দিয়ে কেশবকে নিজের পরিবারে ঠাঁই দিতে রাজি হয়। কেশব এখন দিন কাটাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের জেলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা