ট্রেনে অন্তর্বাসে থাকা বিধায়কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনলেন এক যাত্রী
অন্তর্বাস পরে ট্রেনময় ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল আরও গুরুতর অভিযোগ। যা ওই বিধায়ককে আরও সমস্যায় ফেলল।
অন্তর্বাস পরে ট্রেনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক বিধায়ক। কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। অনেকেই যাত্রীই অভিযোগ করেন যে ট্রেনে মহিলারা রয়েছেন। তাঁদের সামনে ওই অবস্থায় যেন বিধায়ক না ঘোরেন। কিন্তু অভিযোগ বিধায়ক তাতে কান দেননি।
এই অভিযোগ ঘিরে হৈচৈ তো চলছিলই। তারমধ্যে আরও গুরুতর অভিযোগ আনলেন এক যাত্রী। তাঁর অভিযোগ অন্তর্বাস পরে ঘোরাই নয়, ওই বিধায়ক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
ওই যাত্রী প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে যাতা বলে অপমান করেন গোপাল মণ্ডল নামে ওই বিধায়ক। এমনকি ওই যাত্রীর দাবি, তাঁর হাতে থাকা সোনার আংটিও ছিনিয়ে নেন বিধায়ক। এই মর্মে তিনি পুলিশে অভিযোগও দায়ের করেছেন।
পাটনা-দিল্লি তেজস রাজধানী এক্সপ্রেসের এ১ কামরায় তাঁর ২ সহযোগীকে নিয়ে ওঠেন জনতা দল ইউনাইটেড-এর বিধায়ক গোপাল মণ্ডল।
দিল্লিমুখী ট্রেনটি ছাড়ার পর উত্তরপ্রদেশের দিলদারনগর জংশন আসার আগেই গোপাল মণ্ডল পরনের জামা প্যান্ট খুলে ফেলেন। পরনে থাকে কেবল একটি গেঞ্জি ও জাঙ্গিয়া। তাই পরেই ট্রেনের কামরাময় ঘোরাফেরা শুরু করেন তিনি বলে অভিযোগ।
যাত্রীরা এভাবে তাঁর ঘোরা নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হন। অনেক মহিলাও ছিলেন ট্রেনে। তাঁরা লজ্জায় মুখ ঢাকেন। গোপাল মণ্ডলের ওই অবস্থায় ছবিও তুলে নেন অনেকে।
যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা যখন বিধায়ককে বোঝাতে যান যে ট্রেনে অনেক মহিলা যাত্রী রয়েছেন। তাঁদের সামনে এভাবে ঘোরাটা তাঁর উচিত হচ্ছেনা, তখন বিধায়ক তাঁদের ওপর চোটপাট করে ভাগিয়ে দেন। কিন্তু তিনি ওইভাবেই ট্রেনে ঘুরতে থাকেন।
পরে বিষয়টি নিয়ে হৈচৈ শুরু হলে বিধায়ক দাপটের সঙ্গে জানান, এটা ঠিক যে তিনি ওইভাবে ঘুরছিলেন। তাতে কি! এজন্য তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হবে নাকি! — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা