গোমূত্র ও গোবরের কামাল, নষ্ট জমি ভরে উঠল আপেলে
এও যে হতে পারে তা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। ওই জমিতে যে ফলন হতে পারে সে আশা ছেড়েছিলেন সকলে। কিন্তু সেখানে এখন গাছ ভরেছে আপেলে।
বেশ কয়েক বছর আগে যে বাগানে আপেল ফলত, গত কয়েক বছরে সেই বাগান মৃতপ্রায় পতিত জমিতে পরিণত হয়েছিল। সেখানে ফের আপেল ফলানোর চেষ্টা হলেও তাতে কাজ হয়নি।
ফলে ওই জমিকে পতিত বলে ফেলেই রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অমন বিশাল জমি এভাবে পড়ে থাকবে! বিষয়টি ভাল লাগেনি ওয়াইএস পারমার বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজিওনাল হর্টিকালচার রিসার্চ স্টেশনের দায়িত্ব থাকা মানুষজনের।
ঝোপ জঙ্গল আর শুকনো প্রান্তরের মত চেহারা নিয়েছিল পুরো চত্বর। কিন্তু হাল না ছেড়ে তাঁরা শেষ চেষ্টা করে দেখতে সুভাষ পালেকর ন্যাচারাল ফার্মিং প্রক্রিয়ার হাত ধরেন।
তাতেই কাজ হয় ম্যাজিকের মত। ক্রমশ জমি তার উর্বরতা ফিরে পায়। জমি আপেল চাষের উপযুক্ত হয়ে ওঠে। জমি তৈরি হয়ে গেলে সেখানে আপেলের চারা লাগানো হয়।
সেই চারা গাছে রূপান্তরিত হয়ে এখন ফলে ফলে ভরে উঠেছে। হিমাচল প্রদেশের সিমলার কাছে এই আপেল বাগানে এখন আপেল থিকথিক করছে গাছে।
কীভাবে তা সম্ভব হল? সুভাষ পালেকর ন্যাচারাল ফার্মিং প্রক্রিয়ায় কোনও রাসায়নিকের প্রয়োগ হয়না। পুরোটাই প্রকৃতি থেকে পাওয়া বস্তুকে কাজে লাগিয়ে তা দিয়ে জমিতে ফের প্রাণ ফিরিয়ে আনা হয়।
এজন্য মূলত ব্যবহার হয় ‘জীভামৃত’ এবং ‘ঘনজীভামৃত’। শুনতে শক্ত হলেও এ ২টি আসলে গোমূত্র ও গোবর। দেশি গরুর গোমূত্র ও গোবরকে কাজে লাগিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় জমিতে প্রাণ ফেরানো হয়। তাকে উর্বর করা হয়।
সেই ‘জীভামৃত’ এবং ‘ঘনজীভামৃত’ প্রয়োগে তৈরি জমিতেই এখন আপেলে বাগান ফলে ফলে ভরে উঠেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা