National

১৯ বছর বয়সে বন্ধনমুক্ত বাস্তবের ‘বালিকাবধূ’

দেশের এক চরম বাস্তব এ দেশে হতে থাকা বাল্যবিবাহ। রূপকথার মত সেই বন্ধন থেকে মুক্তি পেলেন এক বালিকাবধূ।

তখন তার ৭ বছর বয়স। ছোট্ট মেয়েটা হঠাৎ একদিন জানতে পারল তার বিয়ে! পুতুলের বিয়ে নিয়ে মেতে থাকার বয়সে সত্যি করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল তাকে।

সেই বয়সে প্রতিবাদও সম্ভব হয়না। বাড়ির ইচ্ছাই তার ইচ্ছা হয়ে যায়। হয়তো নিছক না বুঝেই বিয়ে নামক এক বন্ধনে আবদ্ধ হয় সেদিনের সেই ছোট্ট মেয়েটা।


তারপর সময় এগোতে থাকে। বাবা-মায়ের আদরে নয়, বালিকাবধূ মানসী তার শ্বশুর বাড়িতে বড় হতে থাকে। এভাবেই কেটে যায় ১২টা বছর।

এই ১২ বছরে অনেক কিছু সহ্য করেছে সে। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্নগুলোকে দাঁতে দাঁত চেপে আটকে রেখেছিল চার দেওয়ালের মাঝে। অবশেষে সেই বন্ধন থেকে মিলল মুক্তি।


রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার বাসিন্দা ১৯ বছরের মানসী এই বাল্যবিবাহের বন্ধন থেকে মুক্তি চেয়ে জানান কৃতী ভারতীকে। কৃতী যোধপুর থেকে সারথি ট্রাস্ট নামে একটি সংস্থার তরফে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন।

কৃতী মানসীর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে আসেন ভিলওয়াড়ায়। মানসীর এই বাল্যবিবাহ বাতিল করতে কৃতী হাজির হন ফ্যামিলি কোর্টে।

সেখানে সব শোনার পর বিচারক হরিবল্লভ খতরি রায় দেন মানসীর বিয়ে বাতিল। বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক রায় দান করেন তিনি।

বিয়ের ১২ বছর পর ১৯ বছর বয়সে অবশেষে বিয়ে নামক বন্ধন থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি মানসী। তিনি চান এবার ভাল করে পড়াশোনায় মন দিতে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button