উটদের কাঁধেই এবার ছোটদের পড়ার দায়িত্ব
ছোটদের পড়াশোনার দায়িত্ব এবার বর্তাল উটদের কাঁধে। উটরা সে দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলেও নিয়েছে। পরিশ্রম করছে উটরা। পড়াশোনা করছে ছোটরা।
ছোটদের পড়াশোনার দায়িত্ব বলে কথা। সে দায়িত্বে কোনও খামতি রাখছে না উটরা। যথাসাধ্য তারা পরিশ্রম করছে। পিঠে নিয়ে ঘুরছে বইপত্র। ধূধূ বালির প্রান্তর ধরে আস্ত একটা লাইব্রেরি বয়ে নিয়ে চলেছে তারা। এমনটাই কিন্তু এবার নজর কেড়েছে।
করোনা অনেক স্বাভাবিকতাকেই নষ্ট করে দিয়েছে। ছোটদের বাড়ির চার দেওয়ালে বন্দি করে দিয়েছে। বন্ধ হয়েছে স্কুলের পাঠ। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশোনাতেও তার প্রভাব পড়ছে। শহরেই যদি পরিস্থিতি এমন হয় তাহলে প্রত্যন্ত গ্রামে কি পরিস্থিতি তা অনুমেয়।
এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনা সহ অন্য বই পড়া বা ছবি আঁকার মত বিষয়গুলি যাতে ছোটরা উপভোগ করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নিয়েছে খোদ রাজস্থান সরকারের শিক্ষা দফতর ও রুম টু রোড নামে ইন্টারন্যাশনাল রিডিং ক্যাম্পেন ২০২১-এর একটি উদ্যোগ।
এই প্রকল্পের আওতায় দেড় হাজারের ওপর বই নিয়ে এমন সব প্রত্যন্ত গ্রামে উটরা পৌঁছে যাচ্ছে যেখানে গাড়ি যাওয়ার মত পাকা রাস্তা পর্যন্ত নেই। বালির প্রান্তরের মাঝেই সেসব গ্রাম।
যোধপুর জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় এই কাজ শুরু হয়েছে। এই উটের পিঠে চলমান লাইব্রেরিতে রয়েছে প্রচুর গল্পের বই ও আঁকার বই। যা পেয়ে যারপরনাই খুশি ছোট ছোট মুখগুলো। যারা করোনায় স্কুলে যাওয়া দূরে থাক ভাল করে বাড়িতেও পড়ার সুযোগ পাচ্ছেনা। হাতে পাচ্ছে না বইপত্র।
তারা এমন জায়গায় থাকে যেখানে বাইরের মানুষই প্রায় আসেনা, তো বই! এই উদ্যোগের ফলে কিছু নতুন বইয়ের গন্ধ ও তা পড়ার সুযোগটুকু পেল প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোটরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা