দাদু দিদাকে দেখতে লুকিয়ে ঘরছাড়া কিশোরীর খোঁজ মিলল ৮ দিন পর
দাদু দিদাকে বড্ড ভালবাসে সে। তাদের দেখার জন্য মনটা আকুলিবিকুলি করছিল। তাই লুকিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাঁটতে শুরু করে সে। হারিয়ে যায় পথ।
মেয়েটির যখন খুব কম বয়স, তখনই তার বাবা-মা মারা যান। তারপর থেকে মামার বাড়িতে দাদু-দিদার কাছেই মানুষ। বাপ মা মরা মেয়েটাকে ভালবাসায় মুড়িয়ে রেখেছিলেন দাদু দিদা। কিন্তু তাকে তো পড়াশোনা করে বড় হতে হবে। তাই ভাল স্কুলে ভাল করে পড়াশোনা করতে তাঁদেরই এক আত্মীয়ের কাছে মেয়েটিকে পাঠিয়ে দেন দাদু দিদা।
বেঙ্গালুরু শহরে আত্মীয়ের বাড়িতে থেকেই চলছিল পড়াশোনা। এদিকে অনেক দিন দাদু দিদাকে না দেখতে পেয়ে মন খারাপ করে ১৫ বছরের ওই কিশোরীর।
সে ওই আত্মীয়দের বলে একবার দাদু দিদার কাছে নিয়ে যেতে। তাঁরা জানান আগে পড়াশোনা শেষ হোক। তারপর যাবে দাদু দিদার কাছে।
মেনে নিতে পারেনি কিশোরী। দাদু দিদার জন্য তার মন খারাপ বাড়তে থাকে। গত ২১ অগাস্ট সে কাউকে কিছু না জানিয়ে বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। সঙ্গে কোনও পোশাক নেই। নেই একটা কানাকড়িও।
কিশোরী স্থির করে হেঁটেই সে পৌঁছে যাবে মাদিকেরী জেলায় বসবাসকারী দাদু দিদার গ্রামে। যা ২৭০ কিলোমিটার দূরে। মেঙ্গালুরু রোডের রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে সে একসময় পথ হারায়। পৌঁছে যায় কোমাঘাট্টা গ্রামে।
গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলা তাকে দেখে জল খাওয়ান। খাবার খাওয়ান। তার কাছে সবটা জানতে চান। কিশোরী ওই মহিলাকে সব খুলে বললেও বিষয়টি পুলিশের নজরে আনতে মানা করে।
এদিকে বেঙ্গালুরুর সেই আত্মীয় পুলিশে খবর দেন যে কিশোরী নিখোঁজ। পুলিশ তার খোঁজ শুরু করে। হাইরোডের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অবশেষে কিশোরীর খোঁজও মেলে। তারপর পুলিশ পৌঁছয় ওই গ্রামে।
৮ দিন পর তার খোঁজ পায় পুলিশ। গ্রাম থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে তারপর তাকে প্রাথমিকভাবে একটি চাইল্ড কেয়ার হোমে পাঠায়। তারপর সেখান থেকে তাকে তুলে দেওয়া হয় তার ভালবাসার দাদু দিদার হাতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা