পেশা লজেন্স বিক্রি। ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে জমার অঙ্ক ১৮ কোটি ১৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮১৩ টাকা! এই নিয়েই যত গণ্ডগোল। কারণ পেশা ও সঞ্চয়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক। সাধারণ হিসাবে যা মিলবে না। সেই অমিলই নজর কেড়েছে আয়কর দফতরের। একজন লজেন্স বিক্রেতা যতই পরিশ্রম করুন তাঁর পক্ষে এত টাকা সাশ্রয় অসম্ভব বলেই মনে করছেন তাঁরা। আয়কর আধিকারিকদের আরও অবাক করেছে মুম্বই থেকে বেশ কিছু আর্থিক আদানপ্রদান। যা তাঁরা বিজয়ওয়াড়ার বছর ৩০-এর লজেন্স বিক্রেতা সি কিশোর লালের অ্যাকাউন্টে দেখেছেন। ফলে আয়কর দফতর সমন পাঠিয়ে ডেকে পাঠিয়েছে কিশোর লালকে। যদিও কিশোরের দাবি, তাঁর অ্যাকাউন্টে এত টাকার সূত্র সম্বন্ধে তাঁর কিছু জানা নেই। তাঁর অ্যাকাউন্টে যদি কেউ টাকা ফেলে দেয় তবে তাঁর কী করার আছে, তা নিয়েও পাল্টা প্রশ্ন করেছেন তিনি। আয়কর দফতর তাই ব্যাঙ্কের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে। তাতেই পরিস্কার হয়ে যাবে কিশোর লালের ব্যাঙ্কে আনাগোনার খতিয়ান। পাশাপাশি এই ঘটনায় ব্যাঙ্কের ভিতরকার কেউ জড়িয়ে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন আয়কর আধিকারিকরা।