শ্মশানে পরিকাঠামোর অভাবে দফারফা হচ্ছে গাছের
শ্মশানে পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। যা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। ফলে পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরাল হয়ে উঠছে। তার জেরে জঙ্গলের গাছদের দফারফা হচ্ছে।
শ্মশানে একটি ব্যবস্থা সাধারণত থাকে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের কোলে উত্তরাখণ্ড জুড়ে এমন ১ হাজারের ওপর শ্মশান রয়েছে প্রত্যন্ত এলাকায় যা কার্যত সরকারি হিসাবেও পড়েনা।
রাজ্যের বুক দিয়ে বয়ে গেছে ২৪টি বড় নদী। তারই ধারে ধারে রয়েছে গ্রাম, লোকালয়। সেখানে নদীর ধারে শ্মশান রয়েছে অনেক জায়গায়।
যেখানে নেই সরকারি পরিবেশ বান্ধব পোড়ানোর বন্দোবস্ত। নেই ইলেকট্রিক চুল্লি। ফলে মানুষকে ভরসা করতে হয় সেই কাঠের ওপর।
এদিকে খোলা বাজারে কাঠের দাম পড়ে যাচ্ছে ৪০০ টাকা কুইন্টাল। ফলে মৃতদেহ সৎকার এক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র মানুষজনের কাছে।
এমনও অনেক শ্মশান রয়েছে যেখানে মৃতের পরিবারকেই কাঠ জোগাড় করে আনতে বলা হয়। তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে মোটা টাকা খরচের ধাক্কায় না গিয়ে আশপাশের জঙ্গল থেকে গাছ কেটে নিয়ে চলে আসে। তাতে অনেকগুলো টাকা বাঁচে। কিন্তু এতে গাছের প্রাণ যায়।
শ্মশানে সরকার যে ব্যবস্থা রাখে সেখানে কাঠের জোগান আসে সরকারি ডিপো থেকে। যেখানে হয় মৃত গাছ বা ঝড়ে উপড়ে যাওয়া গাছের কাঠ সরকার সংগ্রহ করে রেখে দেয়। সেসব কাঠ আসে শ্মশানে।
কিন্তু সে সুবিধা সব জায়গায় নেই। ফলে নির্বিচারে চলছে মৃতদেহ সৎকারের জন্য গাছের প্রাণ কেড়ে নেওয়া। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এক পরিবেশকর্মী।
তবে এ ক্ষেত্রে নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে গেলে সরকারি উদ্যোগকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন সকলে। সরকার ব্যবস্থা নিলে সৎকারও হবে, গাছও বাঁচবে বলেই মনে করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা