ম্যাজিক করে বাঁচার আর্তি নিয়ে সরকারের দরজায়
হারিয়ে গেছে ম্যাজিক। এখন আর্তি শুধু একটিই। তাঁরাও বাঁচতে চান। এই বাঁচার আর্তি নিয়েই এবার তাঁরা সরকারের দরজায় কড়া নাড়ছেন।
একরকম হত্যে দেওয়া বলা যেতে পারে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কিই বা করার আছে। অগত্যা একটিই পথ। খেয়ে পড়ে বাঁচতে চেয়ে এবার সরকারের দরজায় হাজির হলেন জাদুকরেরা। যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিশ্বখ্যাত জাদুকর সামরাজ।
৬৫ বছর বয়সে এসে মার্লিন পুরস্কার জেতা সামরাজ ভাবতেও পারেননি তাঁকে এই দিনটাও দেখতে হবে। একদিন বাঁচার আর্তি নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে বাকি জাদুকরদের সঙ্গে নিয়ে।
কেরালার তিরুবনন্তপুরমে রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরের সামনে অবস্থান করেন সামরাজ সহ কেরালার প্রতিটি জেলার ২ জন করে জাদুকর। এছাড়াও কেরালার ১৪টি জেলার সবকটির প্রশাসনিক ভবনের সামনে বাকি জাদুকরেরা বিক্ষোভে শামিল হন।
সামরাজ জানান, গত বছরের মার্চ মাস থেকে তাঁরা বেকার হয়ে বসে আছেন। তাঁদের এই যাদু দেখিয়ে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার বিনোদন পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জাদুকর ছাড়াও তাঁদের অর্কেস্ট্রা, আলো, শব্দ, স্টেজে কাজ করা মানুষজন এবং যাদু দেখানোর অন্য কাজে যুক্ত মানুষজন।
তাঁদের অনেকেই আর সংসার চালানোর মত অবস্থায় নেই। ইতিমধ্যেই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ৩০ জন আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁরা কারও বিরুদ্ধে নন। কিন্তু তাঁরাও আর পাঁচজনের মত বাঁচতে চান। সংসার নিয়ে খেয়ে পড়ে থাকতে চান।
তাই বেঁচে থাকার জন্য তাঁদের রোজগারের রাস্তাটা অন্তত খুলে দিক সরকার। প্রসঙ্গত যাদু দেখানো করোনার জন্য বন্ধ রয়েছে দেড় বছর হয়ে গেল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা