বাঘের পায়ে পড়ে ছেলেকে বাঁচালেন বাবা
এক আশ্চর্য রক্ষা বললেও বোধহয় কম বলা হয়। লেপার্ডে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ছেলেকে। এটা দেখার পর ছেলেটির বাবা যা করলেন তা বোধহয় একজন পিতাই পারেন।
বাইকটা সবে পার্ক করছিলেন বাড়ির সামনে। রাতের অন্ধকারে চারপাশটা খুব যে ভাল দেখা যাচ্ছে তা নয়। পাশেই জঙ্গল। তার ধারেই গ্রাম। বাইক রাখতে রাখতেই তিনি একটা শব্দ পান।
সেদিকে তাকিয়ে দেখতেই কার্যত আঁতকে ওঠেন তিনি। দেখেন তাঁর ৭ বছরের ছেলে সন্দীপকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে একটা লেপার্ড।
এই দৃশ্য দেখার পর তিনি আর এক মুহুর্তও নষ্ট না করে ছেলের জীবন রক্ষা করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রথমেই লাফিয়ে পড়ে জাপটে ধরেন লেপার্ডের পিছনের পা। বাবা ও ছেলে আর্তনাদ করতে থাকেন।
বাবা রাধে যাদব কিছুতেই লেপার্ডের পা ছাড়েননি। এদিকে আর্তনাদের শব্দ পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন গ্রামের লোকজন।
ততক্ষণ বাঘের পা জাপটেই ছিলেন রাধে যাদব। গ্রামবাসীরা এসে লাঠি নিয়ে লেপার্ডটিকে ঘিরে ধরেন। বেগতিক বুঝে ছেলেটিকে ছেড়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় লেপার্ড।
দ্রুত সন্দীপকে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে হাসপাতাল। আপাতত তার অবস্থা স্থিতিশীল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির দুধওয়া টাইগার রিজার্ভের গায়ের একটি গ্রামে।
গ্রামের কাছ দিয়ে বয়ে গেছে ঘাগরা নদী। বন্যায় নদী ছাপিয়ে জল গ্রামে গ্রামে ঢুকে পড়েছে। ফলে এইসব এলাকায় বন কর্মীদের পক্ষেও পৌঁছনো দুষ্কর হচ্ছে। নৌকা ছাড়া সেখানে পৌঁছনোর উপায় নেই।
এদিকে দিন সাতেক আগেই ১২ বছরের এক কিশোরকে এই গ্রাম থেকেই তুলে নিয়ে যায় একটি লেপার্ড। তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা