সাক্ষী রেখে অগ্নিকুণ্ডে আহুতি দেওয়া হবে গণ্ডারের শিং, হাতির দাঁত
গণ্ডারের শিং হোক বা হাতির দাঁত। এর বাজার মূল্য আকাশছোঁয়া। কিন্তু সেই অমূল্য গণ্ডারের শিং বা হাতির দাঁত আহুতি দেওয়া হবে অগ্নিকুণ্ডে। জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী।
চোরা শিকারিরা জঙ্গলে ঘাপটি মেরে থেকে বন কর্মীদের অলক্ষ্যে একের পর এক পশু শিকার করে চলে। সব পশু নয়। গণ্ডার, হাতি বা বাঘের মত জন্তু তাদের পছন্দের তালিকায় থাকে। কেন থাকে? কারণ এসব পশুর শিং হোক বা দাঁত হোক বা চামড়া, চোরবাজারে ব্যাপক দাম।
ভারতের জঙ্গলে গণ্ডার, হাতিদের হত্যা করে তাদের শিং বা দাঁত কেটে নেয় চোরা শিকারিরা। তারপর তা লুকিয়ে পাচার করে বিদেশে। এমন পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের স্থান হয় জেলে আর বহুমূল্য গণ্ডারের শিং বা হাতির দাঁতের জায়গা হয় সরকারি গুদাম।
অসমের সেই গুদাম এখন প্রায় ভরে এসেছে চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত শিং বা দাঁতের ভিড়ে। তাই এবার তার অন্য ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার।
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে সরকারি গুদামে থাকা ২ হাজার ৬২৩টি গণ্ডারের শিং, ২ হাজার ৪৭৯টি গণ্ডারের শিংয়ের টুকরো আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হবে।
পোড়ানোর আগে আশপাশের মানুষকে ডেকে নেওয়া হবে। তারপর তাঁদের সাক্ষী রেখে অগ্নিকুণ্ডে ফেলা হবে বহুমূল্য এসব শিং। এছাড়াও ৯৪টি শিং আলাদা করে রাখা হবে।
এগুলিকে হেরিটেজ আখ্যা দিয়ে রাখা থাকবে। পড়াশোনার জন্য এর ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও ৫০টি গণ্ডারের শিং আলাদা করা থাকবে আদালতের মামলাকে কেন্দ্র করে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা