আমের সঙ্গে তেঁতুলের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ৪০০ অতিথি
এও হয়, আমের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হল তেঁতুলের। তাও আবার ধুমধাম করে। হাজিরার তালিকায় ছিলেন ৪০০ অতিথি। মেনুও ছিল জিভে জল আনা।
বিয়ে তো সকলেই দেখেছেন। কিন্তু এমন বিয়ে দেখেছেন কি, যেখানে পাত্র হল আম আর পাত্রী তেঁতুল! একদম তাই হয়েছে বাস্তবে। বিয়ে হয়েছে আম আর তেঁতুলের। তাও আবার সুসজ্জিত মণ্ডপে মন্ত্র পড়ে বিয়ের যাবতীয় রীতি পালন হয়েছে।
এই বিয়ের সাক্ষী থেকেছেন ৪০০ জন অতিথি। অবশ্য হঠাৎ করে কিছু হয়নি। এই বিয়ের কার্ড ছাপানো হয়েছিল আগেই।
কার্ডে পাত্রের নাম লেখা ছিল চিরঞ্জীব রসল আর পাত্রীর নাম আয়ুষ্মতী ইমলি। চিরঞ্জীব রসলকে বলা হয় আমের রাজা। সেটাই লেখা ছিল কার্ডে। অন্যদিকে পাত্রী আয়ুষ্মতী ইমলিকে ব্যাখ্যা করা হয় চুলবুলি পুত্রী হিসাবে।
বিয়েতে হাজিরার সংখ্যা নেহাত কম ছিলনা। ৪০০ জন নিমন্ত্রিত ছিলেন এই বিয়েতে। খাওয়া দাওয়ার আয়োজনও ছিল বিশাল।
মেনুতে ছিল পুরি, সবজি, রায়তা আর দইবড়া। যেখানে স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারাও ছিলেন। বিয়ের পর ওই বিবাহবাসরেই একটি তেঁতুলের বীজ বপন করা হয়। কিন্তু কেন এমন বিয়ের আয়োজন? এর পিছনে অবশ্যই একটি কারণ লুকিয়ে রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের মুস্তফাবাদ এলাকায় এই বিয়ের আসর বসে। এই মুস্তফাবাদের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাথিনা নদী। স্থানীয় মানুষের ধারনা এই নদীর পুনরুজ্জীবনে আম আর তেঁতুলের বিয়ে হওয়ার আবশ্যিক।
সেজন্যই এই আয়োজন। স্থানীয় মানুষজন ওই নদীর ২ ধারে প্রচুর ফলের গাছ লাগানোর সিদ্ধান্তও গ্রহণ করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা