শাড়ি পরে আসায় মহিলাকে রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দিলেন না কর্মীরা
শাড়ি পরে আসায় এক মহিলাকে একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকতে দেওয়া হল না। ওই মহিলার প্রশ্ন, ভারতে শাড়ি পরে আসায় তাঁকে কেন একটি রেস্তোরাঁ প্রবেশ করতে দিল না।
ভারতে শাড়ি নামক পোশাকটিকে যথেষ্ট সম্ভ্রমের চোখে দেখা হয়। ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই শাড়ি। সেই শাড়ি পরে আসায় এক মহিলা কিনা এই দেশেরই একটি রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারলেননা!
যাঁরাই শুনেছেন তাঁরাই হতবাক হয়ে গেছেন এটা শুনে। প্রাক্তন সাংবাদিক অনিতা চৌধুরি তাঁর মেয়ের জন্মদিন পালনের জন্য দিল্লির বর্ধিষ্ণু এলাকা খেল গাঁও-এর হোটেল একুইলা-তে একটি টেবিল বুক করেন।
জন্মদিনের কয়েকদিন আগেই টেবিল বুক করা হয়। তারপর নির্দিষ্ট দিনে মেয়ে ও পরিবারকে নিয়ে অনিতা হাজির হন হোটেলে। কিন্তু রেস্তোরাঁর দরজাতেই আটকে দেওয়া হয় অনিতা চৌধুরিকে।
কেন তাঁকে আটকানো হল? প্রশ্নের উত্তরে গেটে দাঁড়ানো কর্মী জানান, অনিতা চৌধুরি স্মার্ট ক্যাজুয়াল পড়ে আসেননি। শাড়ি স্মার্ট ক্যাজুয়ালের মধ্যে পড়ে না। তাই তাঁকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
অনিতা চৌধুরি একথা শুনে কার্যত থ বনে যান। তিনি রুল বুক দেখাতে বলেন। তাঁর মেয়েও মাকে ঢুকতে দেওয়ার জন্য সরব হন। কথা কাটাকাটির মধ্যে বাইরে বেরিয়ে আসেন রেস্তোরাঁর ম্যানেজার। তাঁর কাছেও উত্তর চান অনিতা চৌধুরি।
অনিতাদেবীর দাবি পাল্টা ওই ম্যানেজার তাঁকে ভয় দেখান এই বলে যে তিনি এখানে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তাই তিনি এবার বাউন্সার ডাকতে বাধ্য হবেন।
ওই রেস্তোরাঁয় না ঢুকে অনিতা চৌধুরির পরিবার বেরিয়ে আসে। তবে তিনি সেই কথোপকথনের ভিডিও আপলোড করে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখার পর ওই রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনায় ঝড় আছড়ে পড়ে।
এমনও জানানো হয় যে ওই রেস্তোরাঁটির বদনাম আজকের নয়। বহু মানুষই রেস্তোরাঁটি সম্বন্ধে খারাপ মন্তব্য করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা