মহিলার ভাঙা হাতের এক ঘুষিতেই সব জারিজুরি শেষ
এক মহিলা সাংবাদিক তখন ভুলে গিয়েছিলেন যে তাঁর একটা হাতে অপারেশন হয়েছে। সব ভুলে তিনি এক ঘুষি চালালেন। যাতে ধরাশায়ী হল যুবক।
নিজে পেশায় একজন সাংবাদিক। বছর ৪৫-এর ওই মহিলা অফিস থেকে গত শুক্রবার যখন বার হন তখন ঘড়িতে সন্ধে ৭টা বাজে। যে এলাকায় অফিস সেখানে ভালই লোকজনের ভিড়।
তিনি হাঁটতে হাঁটতে এগোন। কিছুক্ষণের মধ্যেই লক্ষ্য করেন তাঁর পিছু ধাওয়া করেছে এক যুবক। যুবকের কানে ফোন। আর ফোনে কথা বলার ভঙ্গিতেই সে অত্যন্ত কুরুচিকর শব্দ ব্যবহার করে চলেছে।
কৃষ্ণি শিরুর নামে ওই মহিলা বুঝতে পারেন ফোনে কথা বলা নামেই। আসলে কথাগুলো তাঁকে শুনিয়েই বলা হচ্ছে। অগত্যা পা চালিয়ে এগোন তিনি। কিন্তু বুঝতে পারেন তিনি দ্রুত এগোলে ওই যুবকও দ্রুত এগোচ্ছে।
আস্তে হাঁটলে সেও আস্তে হয়ে যাচ্ছে। একটু এগোনের পর আর শুধু কথা নয় হাঁটতে হাঁটতে সে ওই মহিলার দেহ স্পর্শ করাও শুরু করে দেয়। এদিকে কৃষ্ণি যে মোড়ে এসে পৌঁছন সেখানে মানুষজন তুলনায় কম। আলোও বিশেষ নেই।
কৃষ্ণি ওখান থেকেই স্থানীয় থানায় ফোন করেন। থানা ১১২ নম্বরে ফোন করতে বলে। সেখানে ফোন করতে কৃষ্ণির দাবি তাঁকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করতে শুরু করা হয়।
অগত্যা সেই সাহায্যের অপেক্ষা না করে কৃষ্ণি অফিসে ফোন করেন। অফিস থেকে তাঁর ২ সহকর্মী সঙ্গে সঙ্গে বাইক নিয়ে হাজির হন। তাঁদের দেখে এবার পালাতে শুরু করে ওই যুবক।
২ জন বাইক নিয়ে তার সামনে হাজির হলে ফের সে উল্টোদিকে ছুটতে থাকে। যেখানে কৃষ্ণি নিজে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যুবকটি কাছে আসতেই তিনি সজোরে একটা ঘুষি চালান।
শক্তিশালী সেই ঘুষিতে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যায় ওই যুবক। এরপর আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসেন। শুরু হয় গণধোলাই।
পরে ওই পথচলতি রোমিওকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের হুব্বালি এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা