জেল থেকে পালিয়ে স্ত্রী পুত্রের সঙ্গে দেখা করে ফিরে এল বন্দি
স্ত্রী পুত্রকে অনেকদিন দেখেনি। মনটা তাঁদের একবার দেখতে চাইছিল। তাই একটু জেল ভেঙে ঘুরে এল বন্দি। দেখে এল স্ত্রী পুত্রকে।
২০১৭ সাল থেকে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে বন্দি। স্ত্রী পুত্রকে অনেকদিন দেখা হয়নি। তাই মনটা আকুলিবিকুলি করছিল। স্ত্রী পুত্রকে একবার চোখের দেখা দেখতে ইচ্ছা করছিল। সেই মনের ইচ্ছা পূরণ করতে জেলে ভেঙে পালিয়ে গেল জাফর হুসেন নামে ওই বন্দি।
গত মঙ্গলবার পালিয়ে গিয়েছিল। তিরুবনন্তপুরমের জেলে বন্দি ছিল সে। সেখান থেকেই পলায়ন। পালিয়ে সোজা হাজির হয় তামিলনাড়ুর তুতিকোরিনে।
সেখানে তার স্ত্রী ও ছেলে রয়েছে। তাঁদের কাছে পৌঁছে যায় হুসেন। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটায়। তারপর শনিবার ফের ফেরত আসে। ফিরে আসে তিরুবনন্তপুরমে।
সেখানে আদালতে হাজির হয় সে। জানায় সে পালিয়ে গিয়েছিল। ফের জেলে ফিরতে চায়। আদালত তার আর্জি শুনে তাকে কাগজপত্রের কাজ সেরে ফের পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
হুসেন ফেরত যায় যে জেলে সে বন্দি ছিল সেখানে। যখন শনিবার সে ফের আত্মসমর্পণ করতে আদালতে হাজির হয় তখন তার সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও পুত্র।
এই ঘটনা রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠছে জেলের সুরক্ষা নিয়ে। এক বন্দি জেল থেকে পালাল। নিজের বাড়ি গেল। সেখানে কয়েকদিন কাটাল। তারপর ফেরত এল।
জেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা কতটা ঠুনকো যে সে সহজেই পালিয়ে গেল? পালিয়ে যাওয়ার পর সে নিজের বাড়ি ফিরেছিল। অথচ সেখান থেকে তাকে পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ? নিজে ধরা না দিলে কী হত? প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত করোনার সময় ওই জেলের অনেক বন্দিকেই প্যারোলে ছাড়া হয়। কিন্তু হুসেন সেই সুযোগ পায়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা