জামিন পেতে গেলে ২ হাজার মহিলার কাপড় কাচতে হবে, শর্ত আদালতের
জামিন দেওয়া যেতে পারে, তবে শর্তসাপেক্ষে। সেক্ষেত্রে ২ হাজার মহিলার কাপড় কাচতে হবে। অভিযুক্তকে এমনই এক অভিনব শর্ত দিল আদালত।
গত ১৭ এপ্রিলের কথা। সেদিন রাতে এক মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান যে তাঁর গ্রামেরই লালন কুমার নামে এক ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করেছে। পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করে লালনের খোঁজে নামে।
লালনকে ১৯ এপ্রিল গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে কারাগারের পিছনেই কেটেছে লালনের। তারপর জামিনের চেষ্টা করলেও তা মেলেনি। অবশেষে জামিন মিলল। তবে শর্তসাপেক্ষে। আর সে শর্ত যথার্থই অভিনব।
অভিযুক্ত লালন কারাগারে বন্দি থাকাকালীন তার ব্যবহার ভাল ছিল। তারওপর সে আদালতে তার দোষ স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছে।
এসব কথা মাথায় রেখে বিহারের মধুবনী জেলার ঝাঝারপুরের অ্যাডিশনাল সেশন জজ অবনীশ কুমার লালনের জামিন মঞ্জুর করেন ঠিকই, তবে শর্তসাপেক্ষে।
জামিন শর্তসাপেক্ষে হয়ে থাকে। তাই সেটা স্বাভাবিক। কিন্তু বিচারকের শর্ত কার্যত সকলকে চমকেও দিয়েছে, খুশিও করেছে।
বিচারক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, লালন জামিন পাবে, তবে তাকে ২ হাজার মহিলার কাপড় কাচতে হবে। কাপড় কেচে তা শুকিয়ে, তারপর তা ইস্ত্রি করে মহিলাদের ফেরত দিতে হবে।
এই কাচাকাচির জন্য প্রয়োজনীয় ডিটারজেন্ট পাউডার এবং ইস্ত্রি করার জন্য ইস্ত্রি মেশিন তাকেই কিনতে হবে। লালন এই কাচাকাচির শর্ত মানছে কিনা তা দেখার জন্য গ্রাম প্রধান নাসিমা খাতুনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ পাঠিয়েছে আদালত।
আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে নাসিমা খাতুন জানিয়েছেন, এমন একটি নির্দেশের পর মহিলাদের সম্মান প্রদর্শন শিখবে এইসব মানুষরা।
নাসিমা এও জানিয়েছেন যে তাঁদের গ্রামে ৪২৫ জন মহিলা রয়েছেন। তিনি কঠোর নজর রাখবেন যাতে লালন এই মহিলাদের পাঠানো বাসি কাপড় কেচে সঠিকভাবে ইস্ত্রি করে মহিলাদের ফিরয়ে দেয়। এই কাচা ততদিন চলবে যতদিন পর্যন্ত না লালনের ২ হাজার কাপড় কাচা সম্পূর্ণ হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা