প্রাত্যহিক মজুরিতে সংসার চালানো শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ১০ কোটি টাকা
অ্যাকাউন্টে অ্যাকাউন্টে টাকার বৃষ্টি থামছে না। এবার এক প্রাত্যহিক মজুরির ভরসায় সংসার চালানো শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে এক লপ্তে ঢুকল প্রায় ১০ কোটি টাকা।
কখনও বৃদ্ধ পেনশনভোগী কৃষকের অ্যাকাউন্টে, তো কখনও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে, কখনও আবার দরিদ্র কৃষকের অ্যাকাউন্টে, রাতারাতি তাঁরা হয়ে উঠছেন কোটি কোটি টাকার মালিক।
তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকছে কোটি কোটি টাকা। কোথা থেকে আসছে এ টাকা, কেই বা দিচ্ছেন তার কুল কিনারা পাচ্ছেন না তাঁরা। কেবল অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা ঢুকেছে দেখে আতঙ্ক, আনন্দ সব একসঙ্গে পেয়ে বসছে তাঁদের।
আর খবরটা ছড়িয়ে পড়ছে বিদ্যুতের গতিতে। ফের এমনই একটা ঘটনা ঘটল। এবার প্রায় ১০ কোটি টাকা ঢুকল এক প্রাত্যহিক মজুরির ভরসায় জীবন কাটানো দরিদ্র শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে।
চমকের অবশ্য এই শুরু। বিহারের সুপৌলের বাসিন্দা এক দরিদ্র ব্যক্তি বিপিন চৌহান প্রায় আঁতকে উঠেছেন তাঁর অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার কথা শুনে।
বিপিন সাফ জানিয়েছেন তাঁর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা অনেক দূরের কথা, তাঁর কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই! তিনি গিয়েছিলেন ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখার কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে। যেখানে তিনি ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড করাতে হাজির হন।
তখন বিপিনের অর্থনৈতিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে ওই ব্যাঙ্কের কর্মী বিপিনের আধার কার্ড নম্বর দিয়ে সার্চ করেন। আর তা করতেই দেখা যায় তাঁর একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আর তাতে রয়েছে ৯ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা!
দেখা যায় ওই অ্যাকাউন্টটি ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে খোলা হয়েছিল। ওই অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেনও হয়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রচুর লেনদেন হয়।
ব্যাঙ্ক এটা যখন খোঁজার চেষ্টা করে যে ২০১৬ সালে কে ফর্ম পূরণ করে এই অ্যাকাউন্ট খুলেছিল, তখন তারা সেই ফর্মের খোঁজ পায়নি। অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে ব্যাঙ্কের তরফে তদন্ত শুরু হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা