প্রাক্তন প্রেমিকা ও ভাইকে ফ্যাসাদে ফেলতে কেউ এখানেও নামতে পারে
শুধুমাত্র প্রতিহিংসাপরায়ণ মানসিকতা। আর তা চরিতার্থ করতে একজন মানুষ যে কোথায় নামতে পার তার এক জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে রইল এই ঘটনা।
বিবাহিত পুরুষ সে। ১৩ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তার। তা সত্ত্বেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল এক মহিলার সঙ্গে। ওই মহিলার সঙ্গে ১০ বছর ধরে স্ত্রীকে লুকিয়ে প্রেম করে গেছে সে। কিন্তু সেই ১০ বছরের অবৈধ সম্পর্কে ইতি টানেন ওই মহিলাই।
এটা মেনে নিতে পারেনি বাবলু প্রজাপতি নামে ওই ব্যক্তি। তখন থেকেই সে সুযোগ খুঁজতে থাকে ওই মহিলাকে বিপাকে ফেলার। কিন্তু সে সুযোগ সে পাচ্ছিল না।
অন্যদিকে নিজের ভাইকেও বাবলু ৩০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিল। সেই টাকা ফেরত চেয়েও পাওয়া যাচ্ছিল না। ভাই বারবার সময় চাইছিল। এছাড়াও তার গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে বনিবনা ছিলনা। কিন্তু কিউকেই সে মনের মত করে সায়েস্তা করতে পারছিলনা।
এক ঢিলে সব শত্রুকে সায়েস্তা করতে তাই একটি পরিকল্পনা করে বাবলু। একজন বাবা হয়ে যে এ পরিকল্পনা বানানো যায় তা স্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না কেউ।
গত শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি জেলার মৌরানিপুরের ধাউরা গ্রামের বাসিন্দা বাবলু তার ১৩ বছরের মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। বাবা ডেকেছে, তাই মেয়ে বাবার সঙ্গে নিশ্চিন্তে হাঁটা লাগায়।
বাবলু তাকে নিয়ে যায় গ্রামের ধার দিয়ে বয়ে যাওয়া একটি নদীর ধারে। সেখানে সে মেয়েকে হত্যা করে। তারপর সেখান থেকে সোজা হাজির হয় পুলিশ স্টেশনে।
পুলিশের কাছে বাবলু জানায় নদীর ধারে তাকে ৯ জন মিলে আক্রমণ করে। তার হাত থেকে কুঠার কেড়ে নিয়ে তাকে তাড়া করে তারা। যার মধ্যে ২ জন মহিলাও ছিলেন।
একজন মহিলা বাবলুর প্রাক্তন প্রেমিকা। এই ৯ জনের মধ্যে ২ জন বাদে সকলেই তার চেনা। যে দলে তার ভাইও ছিলেন। কোনওক্রমে সে পালাতে পারলেও তার মেয়ে ওই মারমুখী ৯ জনের হাতে ধরা পড়ে যায়। বাবলুর দাবি করে এই ৯ জনে মিলে তার মেয়েকে হত্যা করে।
পুলিশ তদন্তে নেমে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে পুরো ঘটনায় অনেক অসঙ্গতি পায়। এবার তদন্তকারীরা পাল্টা বাবলুকেই চেপে ধরেন।
পুলিশি জেরার মুখে বাবলু এক সময় ভেঙে পড়ে স্বীকার করে ভাই, প্রাক্তন প্রেমিকা সহ তার ৯ জন শত্রুকে সায়েস্তা করতেই সে নিজেরে মেয়েকে হত্যা করে সেই দায় ওই ৯ জনের ওপর চাপাতে চেয়েছিল। পুলিশ বালু প্রজাপতিকে গ্রেফতার করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা