উচিত জবাব, ব্রিটিশদের পাল্টা দিল ভারত
একেবারে সমুচিত জবাব এবার দিয়ে দিল ভারত সরকার। ব্রিটেনের বাড়াবাড়িতে অসন্তোষ প্রকাশ আগেই করেছিল ভারত। এবার কাজেও পাল্টা দিল তারা।
ব্রিটেন থেকে কেউ ভারতে আসতে চাইলে আসতেই পারেন। তবে ভারতে ঢুকতে গেলে তাঁকে ভারতে অবতরণের ৭২ ঘণ্টার পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে করা আরটি-পিসিআর রিপোর্ট সঙ্গে আনতে হবে।
ভারতের যে বিমানবন্দরেই তিনি নামুন না কেন যদি সেই আরটি-পিসিআর রিপোর্ট নেগেটিভও হয় তাহলেও তাঁকে বিমানবন্দরে ভারতে আরও একবার আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হবে।
সেই রিপোর্ট নেগেটিভ যদি আসেও তাহলেও তাঁকে ১০ দিনের জন্য নিভৃতবাসে থাকতেই হবে। কোয়ারেন্টিন থাকাকালীন অষ্টম দিনে তাঁর ফের একটি আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হবে। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ এলে ১০ দিন নিভৃতবাসে কাটানোর পর তিনি ভারতে ঘুরতে পারবেন। এটা ব্রিটেন থেকে ভারতে আসা সব মানুষের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
যদি যাত্রীর টিকার ২ ডোজ সম্পূর্ণ করা থাকে তাহলেও এই পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েই তাঁকে ভারতে ঘোরার ছাড়পত্র পেতে হবে। এটাই এবার জানিয়ে দিল ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। আগামী ৪ অক্টোবর থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে।
গত কয়েকদিন ধরেই ব্রিটেন ভারতে নেওয়া করোনা টিকার ২ ডোজকে মান্যতা দিতে রাজি হচ্ছিল না। ভারত পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলে তারা কোভ্যাক্সিনকে না দিলেও কোভিশিল্ডকে মান্যতা দিয়েছে। কিন্তু তারপরেও ভারত থেকে ব্রিটেনে প্রবেশ করতে গেলে নিভৃতবাস ও করোনা পরীক্ষা করাতেই হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
ভারত এর প্রতিবাদ করে আসছিল। ২ ডোজ থাকা লোকজন সার্টিফিকেট নিয়ে গেলেও তাকে এভাবে উড়িয়ে দেওয়াকে ভারত ভাল চোখে নিচ্ছিল না।
এবার ভারত সরকার একদম স্ট্রেট ব্যাটে খেলল। ঢিল ছুঁড়লে যে পাটকেলটা পাল্টা যাবে তা ব্রিটিশ সরকারকে বুঝিয়ে দিল ভারত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা