মাদক খাইয়ে ১৫ বছরের মেয়েকে রাতের অন্ধকারে কাছের মন্দিরে নিয়ে যায় বাবা মহাবীর প্রসাদ ও মা পুষ্পা। কথামত আচ্ছন্ন মেয়েকে তুলে দেয় নিজেকে ওঝা বলে দাবি করা কৃষ্ণ শর্মার হাতে। কৃষ্ণ মেয়েটিকে নিয়ে যায় মন্দিরের কাছে একটি গাছের কাছে। তারপর বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে তাদের সামনেই গলা টিপে খুন করে তাকে। এরপর মেয়েটির দেহ থেকে এক এক করে সব পোশাক খুলে নিয়ে তাকে নগ্ন করে। পূজাবিধির অংশ বলে দাবি করে বাবা-মায়ের সামনেই শুরু হয় মেয়েটির মৃতদেহের ওপর পাশবিক অত্যাচার ও ধর্ষণ। এরপর মেয়েটির দেহ থেকে সামান্য রক্ত সংগ্রহ করে কৃষ্ণ শর্মা পুজোর কাজ সারে। একথা পুলিশের কাছে সবিস্তারে স্বীকার করেছে মহাবীর ও পুষ্পা। কিন্তু কেন? উত্তরপ্রদেশের কনৌজের বাসিন্দা মহাবীর পুলিশকে জানিয়েছে, তার গয়নার দোকান। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই ব্যবসা ভাল যাচ্ছিল না। প্রতিকার চাইছিল সে। পার্টটাইমে মহাবীরের গাড়ি চালাত কৃষ্ণ শর্মা। কথায় কথায় কৃষ্ণ নিজেকে ওঝা বলে দাবি করেছিল। সেকথা মাথায় রেখে তাকে ব্যবসার অবস্থার কথা খুলে বলতে সে এক প্রতিকার বাতলায়। কৃষ্ণ তাকে বলে যদি তার ১৫ বছরের মেয়েকে বলি দিয়ে পুজো করা হয় তবে মহাবীর ৫ কেজি সোনা পাবে। ৫ কেজি সোনার লোভ ছাড়তে পারেনি মহাবীর ও তার স্ত্রী পুষ্পা। এরজন্য ছোট মেয়েকে বলি দিতেও সংকোচ বোধ করেনি তারা। বরং কৃষ্ণর কথায় রাজি হয়ে নিজেরাই মেয়েকে মাদক খাইয়ে তুলে দেয় কৃষ্ণর হাতে। চোখের সামনে দেখে মেয়ের যাবতীয় পরিণতি। কিন্তু সব করেও সোনার একটা টুকরোও না জোটায় তারা পুলিশে খবর দেয়। সব শুনে কৃষ্ণকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে মহাবীর ও পুষ্পাকেও। সোনা পাওয়ার লোভে সন্তানের সঙ্গে এমন আচরণ করতে পিছপা না হওয়া মহাবীর-পুষ্পা কী ধাতুতে গড়া তা এখনও পরিস্কার হচ্ছে না কারও কাছে।