আইন সকলের জন্য এক, জরিমানা গুনতে হল বিধায়ককেও
বিধায়ক বলে যে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে তা কিন্তু এক্ষেত্রে হল না। মন্দিরের সামনে ট্রাফিক আইন ভাঙায় ওই বিধায়ককে গুনতে হল জরিমানা।
ভারতে রাজনৈতিক নেতা হলেই অনেক সময় তাঁদের সাত খুন মাফ! তায় আবার বিধায়ক হলে তো কথাই নেই! এমন একটা ধারনা দেশের সাধারণ মানুষের মনে গেঁথে গেছে।
যদিও তা হয়তো সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এটা পরিস্কার হয়ে গেল একটি ঘটনায়। বিধায়ক বলে পুলিশ তাঁকে ছাড় দেয়নি। বরং ট্রাফিক আইন ভাঙায় একজন সাধারণ মানুষকে যে জরিমানার মুখে পড়তে হত তাঁকেও তাই পড়তে হল। যদিও ব্যোমকেশ রায় নামে ওই বিধায়ক মানতে নারাজ যে তিনি ওই গাড়িতে ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে পুরীর শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সামনে। মন্দিরের কাছে গাড়ি পার্কিংয়ের আলাদা জায়গা আছে। কিন্তু গত বুধবার সেখানে গাড়ি না রেখে মন্দিরের সামনে দাঁড়ায় বিধায়ক ব্যোমকেশ রায়ের গাড়ি। সে ছবি তুলে অনেকেই সোশ্যাল সাইটে আপলোড করে দেন।
বিধায়কের গাড়ি মন্দিরের সামনে দাঁড়িয়ে আছে তা দেখতে পায় পুলিশও। নো পার্কিংয়ে এভাবে মন্দিরের সামনে গাড়ি রাখায় খোঁজ হয় গাড়ি কার?
পুলিশ জানতে পারে গাড়িটি ক্ষমতাসীন বিজু জনতা দলের এক বিধায়কের। পুলিশ কিন্তু ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য ই-চালান কেটে দেয়।
২ হাজার টাকা জরিমানা হয় বিধায়কের। যদিও বিধায়কের দাবি, তিনি ওই গাড়িতে ছিলেননা। তাঁর গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে মন্দির থেকে ‘আবাধা’ সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ বারণ করায় গাড়ি নিয়ে ফিরে আসেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা