বানভাসি গ্রামে ভাত রাঁধার ডেগচিতে ভেসে বিয়ে করতে গেলেন রাহুল ঐশ্বর্য
বিয়ের দিনক্ষণ আগেই স্থির হয়েছিল। তাই বন্যায় ভেসে গেলেও বিয়েতে অবিচল থাকলেন বরকনে। বিয়ের জন্য মন্দিরে পৌঁছতে আজব এক পদ্ধতি নিলেন তাঁরা।
গোটা গ্রামটাই চলে গেছে জলের তলায়। ভেসে যাচ্ছে চারধার। এতটুকু জমি দেখা যাচ্ছেনা। এই অবস্থায় কোমর জল বা বুক জলে বাধ্য হয়ে নামতে হতে পারে। কিন্তু বিয়ের সাজে ওই জল ভাঙা কার্যত অসম্ভব। এও বোঝা যাচ্ছেনা যে কোথায় জল এক মানুষ হয়ে আছে!
এমন অবস্থায় বিয়ের দিন পিছিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু ঐশ্বর্য বা রাহুল কেউই তাতে রাজি হননি। বরং পরিস্থিতি যাই হোক তাঁরা স্থির করেন বিয়ে তাঁরা নির্ধারিত দিনে এবং নির্ধারিত সময়েই করবেন। কিন্তু বিয়ের সাজে পৌঁছবেন কীভাবে মন্দিরে? মন্দির পর্যন্ত পৌঁছতে না পারলে তো বিয়ে হবে না!
উপায় বার করলেন তাঁরাই। বরকনে ২ জনই একই গ্রামের বাসিন্দা। জলে ভেসে পড়ার জন্য গ্রামে একটাও নৌকা বা ভেলা নেই। তাহলে উপায়?
হঠাৎ এক আত্মীয়ের মাথায় এল একটা বিশাল ডেগচি আছে। অনুষ্ঠানে তা ভাত রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে থাকে। বার হল সেই ডেগচি। তারপর তাতে উঠে বসলেন বরকনে।
ডেগচিই তখন তাঁদের নৌকা, জাহাজ, ভেলা সব কিছু। ওই ডেগচিতে ভেসে ২ জন ৫০০ মিটার পথ অতিক্রম করে পৌঁছলেন মন্দিরে। সঙ্গ দিলেন কয়েকজন আত্মীয়। তারপর সেখানে বিয়ে হল তাঁদের।
রাহুল-ঐশ্বর্যর এই ডেগচিতে ভেসে বিয়ে করতে যাওয়ার ছবি ছড়িয়ে পড়তে সময় নেয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার আলাপ্পুঝা কুট্টানাদ এলাকায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা